আফগানিস্তানে মেয়েদের স্কুল বন্ধ করার পক্ষে অজুহাত দিয়েছে রাশিয়া

আফগানিস্তানের কাবুলে একটি বেসরকারী স্কুলের ক্লাসে ক্লাস চলাকালীন রিশমা রাশেদি নামে একজন ছাত্রী বই পড়ছেন। ৩ আগস্ট, ২০২২।

সোমবার বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম রাজ্য, মোনাকো থেকে শুরু করে সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত, এবং ২০টিরও বেশি সরকার ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ করে দেয়া এবং আফগান মেয়েদের ও নারীদের অন্যান্য মৌলিক অধিকার অস্বীকার করার জন্য তালিবানের নিন্দা করেছেন।

এমনকি তালিবানের কথিত হিতৈষী পাকিস্তান, আফগানিস্তানে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের সংলাপে আফগান মেয়েদের শিক্ষা অস্বীকার করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সংলাপটি জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের ৫১তম অধিবেশনের অংশ ছিল, যা সোমবার জেনেভায় শুরু হয়।

লক্ষ্য করার বিষয় রাশিয়া এবং চীন সমালোচনায় যোগ দেয়নি। একজন রুশ কূটনীতিক তালিবানের অধীনে নারী অধিকারের অগ্রগতির দিকে ইঙ্গিত করেছেন।

রাশিয়ার একজন প্রতিনিধি জাতিসংঘের ইভেন্টে বলেছেন, "আমরা বিবাহ এবং সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে নারী ও মেয়েদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য নতুন আফগান সরকারের প্রচেষ্টা লক্ষ্য করছি। তিনি আরো বলেছেন, "স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে ১,৩০,০০০ এরও বেশি নারী নিযুক্ত রয়েছে।

ঐ অনুষ্ঠানে কোনো তালিবান প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না কারণ জাতিসংঘ তালিবানের তথাকথিত ইসলামিক আমিরাতকে আফগানিস্তানের বৈধ সরকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না। পরিবর্তে, প্রাক্তন আফগান সরকারের কূটনীতিকরা এখনও নিউইয়র্ক এবং জেনেভায় জাতিসংঘের সদর দফতরে আফগান প্রতিনিধি হিসাবে স্বীকৃত।

রাশিয়ার কূটনীতিক আরও বলেন যে কিছু স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কারণ তালিবান মেয়েদের জন্য আলাদা ক্লাসরুম স্থাপনের সামর্থ্য রাখে না। তিনি আফগানিস্তানে সহায়তা বন্ধ করার জন্য এবং তালিবানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দাতাদের দোষারোপ করেছেন যা রাশিয়ার ঐ কূটনীতিকের মতে, আফগান শিক্ষা খাতে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে।