রুশ সীমান্তের কাছে ইউক্রেনের গ্রামে নির্যাতন চালানোর অভিযোগ

একটি বেজমেন্টে লেপ ও স্লিপিং ব্যাগ দেখা যাচ্ছে। ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের মতে, রুশ দখলে থাকার সময়ে এটিকে নির্যাতন কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হত। কোজাশা লোপান। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২।

একটি স্থানীয় সুপারমার্কেটের পেছনে একটি স্যাঁতস্যাতে বেজমেন্টের একদিক ধাতব দণ্ড দিয়ে আলাদা করে একটি বড়সড় বন্দিকক্ষ বানানো হয়েছে। একটি নোংরা স্লিপিং ব্যাগ ও লেপ দিয়ে তিনটি ঘুমানোর জায়গা তৈরি করা হয়েছে। তার নিচে শোলা ব্যবহার করে নিচের ভেজা মাটি থেকে কিছুটা সুরক্ষা দেওয়া্ আছে। এককোণায় দুইটি কালো বালতি শৌচাগার হিসেবে ব্যবহারের জন্য রাখা আছে।

বদ্ধ এই কারাকক্ষের কয়েক মিটার বাইরে, একটি টেবিলের পাশে তিনটি ভাঙাচোরা চেয়ার রাখা। সেগুলোর আশেপাশে মেঝেতে সিগারেটের ফিল্টার ও কুমড়োর বিচির খোসা ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে।

ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ বলছে যে এটি একটি অস্থায়ী কারাগার, যেখানে রুশ বাহিনী আটককৃতদের উপর নির্যাতন চালাতো। পরবর্তীতে ইউক্রেনের সৈন্যরা খারকিভ অঞ্চলে এই মাসে এক বিশাল পাল্টা আক্রমণের মাধ্যমে সীমান্তবর্তী কোজাশা লোপান গ্রামটি পুনর্দখল করে। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকি বলেন যে, গত সপ্তাহে রুশ সৈন্যরা তড়িঘড়ি করে পালিয়ে যাওয়ার পর, ঐ এলাকায় এমন ১০টিরও বেশি “নির্যাতন কক্ষের” সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কক্ষগুলোতে কি ঘটত, সেটির দাবিগুলোকে নিরপেক্ষভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

রাশিয়ার সীমান্ত থেকে মাত্র ২ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে অবস্থিত কোজাশা লোপান গ্রামটি ইউক্রেনের বাহিনী ১১ সেপ্টেম্বর পুনর্দখল করে।

শনিবার নিজেদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে, খারকিভ অঞ্চলের অভিশংসকের দফতর বলে যে, এপি’র সাংবাদিকদের প্রত্যক্ষ করা ঐ কক্ষটি, ঐ এলাকা দখল করে রাখার সময়ে একটি নির্যাতন কক্ষ হিসেবে ব্যবহার করা হত। কোজাশা লোপান গ্রামটি এই অভিশংসকের আওতাভুক্ত এলাকার মধ্যেই পড়েছে। জানানো হয়, রুশ বাহিনী ঐ কারাগার পরিচালনার জন্য একটি স্থানীয় পুলিশ বাহিনী তৈরি করেছিল। তারা এও জানায় যে, ঐ পুলিশ অধিদফতরের কার্যক্রম ও নির্যাতন চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে, এমন সব নথিপত্র জব্দ করা হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয় যে, এ বিষয়ে একটি তদন্ত চলছে।