বাংলাদেশ-ভারত নৌরুটে দূরত্ব কমাবে ব্রহ্মপুত্র খনন প্রকল্প: প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী

বাংলাদেশকে সুস্থ ও সচল রাখতে হলে নদীর প্রবাহ সচল রাখতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “ ব্রহ্মপুত্র নদ খননের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে, বাংলাদেশ-ভারত নৌ-প্রটোকল রুটে ১১৬ কিলোমিটার দূরত্ব কমবে। তুরাগ ও বালু নদের প্রবাহ নিশ্চিত হবে।”

প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ব্রহ্মপুত্র নদে একসময় বড় বড় জাহাজ চলত। খননের অভাবে সেগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। সরকার পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খননে পদক্ষেপ নিয়েছে। শুধু পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নয়, অন্যান্য নদী খননে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।”

মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিআইডব্লিউটিএ আয়োজিত এক জাতীয় কর্মশালায় প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেন।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী জানান যে, ইতোমধ্যেই বদ্বীপ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। এর কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। ব্রহ্মপুত্র নদে শুষ্ক মৌসুমে প্রবাহ পুনরুদ্ধার এবং সারাবছর নিরাপদ নৌচলাচল নিশ্চিত করতে, বিআইডব্লিউটিএ পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খননের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে, ব্রহ্মপুত্র নদকে দ্বিতীয় শ্রেণির রুট হিসেবে উন্নত করবে। এর ফলে বাংলাদেশ-ভারত নৌ-প্রটোকল রুটে ১১৬ কিলোমিটার দূরত্ব কমবে।

তিনি আরও বলেন, “ব্রহ্মপুত্র নদের মুখ খুলে দিলে তুরাগ ও বালু নদের প্রবাহ নিশ্চিত হবে। ঢাকার চারপাশের নদীর দূষণ কমে যাবে, বড় ধরনের সাফল্য আসবে। এটি একটি বড় প্রকল্প, চলমান চ‍্যালেঞ্জ। নিচের দিকে অনেক খনন হয়েছে, মুখ খুলে দিতে পারলে সাফল্য আসবে।”

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা বন্দরের সঙ্গে অভ‍্যন্তরীণ নৌপথে পণ‍্য পরিবহন বেড়ে গেছে। নৌপথে পণ‍্য পরিবহনে খরচ কম। অভ‍্যন্তরীণ নৌপথে নাব‍্য বজায় থাকলে সমুদ্রবন্দরগুলো অনেক বেশি গতিশীল হবে।”