নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাইডেনের প্রথম বৈঠক

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলার সময় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেন (২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, জাতিসংঘের সদরদপ্তর, নিউ ইয়র্ক)।

বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলার সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রথমবারের মতো এক বৈঠকে অংশ নেন। এ সময় তিনি যুক্তরাজ্যকে সবচেয়ে কাছের মিত্র দেশ বলে অভিহিত করেন এবং ইউক্রেনের সংঘর্ষের মোকাবিলা থেকে শুরু করে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে আসার পাশাপাশি উত্তর আয়ারল্যান্ডে শান্তি বজায় রাখার মতো বিষয়গুলোতে একত্রে কাজ করার ওপর জোর দেন।

আলোচনা শুরুর আগে বাইডেন বলেন, ‘আমি বৈশ্বিক গুরুত্বসম্পন্ন এমন কোনো বিষয়ের কথা ভাবতে পারছি না, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে কাজ করছে না। আমি আশা করি এটি বজায় রাখতে পারবো। আজ আমাদের আলোচনাসূচিতে রয়েছে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা উদ্যোগকে সমর্থন জানানো, চীন ইস্যু ও ইরানকে পারমাণবিক অস্ত্র থেকে দূরে রাখা।’

লিজ ট্রাস বলেন, ‘আমাদের সামনে বড় বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, কারণ স্বৈরশাসকরা বিশ্বজুড়ে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। এ কারণে আমরা আমাদের প্রতিরক্ষা খাতের ব্যয় বাড়াতে চাইছি। আমরা আমাদের জিডিপির ৩ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করবো। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে চাই, বিশেষত জ্বালানি ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বিষয়ে। একইসঙ্গে, বিশ্বের অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের সঙ্গেও আমরা কাজ করতে চাই, যাতে সর্বত্র গণতন্ত্রের জয় হয় এবং আমরা স্বাধীনতা ও আমাদের নাগরিকদের ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত রাখতে পারি’, বলেন লিজ।

উভয় নেতা ১৯৯৮ সালে উত্তর আয়ারল্যান্ডের সংঘাতের অবসান ঘটানো গুড ফ্রাইডে চুক্তি বজায় রাখার বিষয়ে আলোচনা করতে সম্মত হন।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ইউক্রেন আগ্রাসনে নতুন করে ৩ লাখ সেনা সমাবেশের ঘোষণা নিয়ে বাইডেনকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি উত্তর দেননি। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে এখনও ‘বিশেষ সম্পর্ক’ বজায় আছে কী না, এ প্রশ্নের উত্তরে ট্রাস মাথা নেড়ে সায় দেন।