নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে নাইজেরিয়ায় শত শত স্কুল বন্ধ

নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কাদুনা অঙ্গরাজ্যের বেথেল ব্যাপ্টিস্ট উচ্চ বিদ্যালয়ের চত্বরে শিক্ষার্থীদের জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। ১৪ জুলাই ২০২১।

নাইজেরিয়ায় এই মাসে নতুন শিক্ষাবর্ষ আরম্ভ হয়েছে। তবে অপহরণ ও সশস্ত্র সংঘবদ্ধ চক্রগুলোর হামলা বৃদ্ধি পাওয়ায় ৬০০টিরও বেশি বিদ্যালয় এখনও বন্ধ রয়েছে বলে, কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

কাদুনা অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণে অবস্থিত সাবো নামের ছোট শহরটিতে স্কুল পড়ুয়া একদল শিক্ষার্থী এক অভিন্ন শত্রুর সম্মুখীন: সশস্ত্র সংঘর্ষ। সশস্ত্র সংঘবদ্ধ চক্রগুলো তাদের গ্রামগুলো দখল করে নিলে, এই অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থিত বেশিরভাগ শিশুই গত বছরের নভেম্বরে তাদের বাবা-মা’র সাথে এখানে চলে আসে।

আবায়ো ইলিয়া নামের এক বাসিন্দা বলেন যে, তার ৬ বছর বয়সী পুত্রসন্তান সেবারই শেষবারের মত বিদ্যালয়ে পড়তে গিয়েছিল।

ইলিয়া বলেন তার গ্রামে আক্রমণ চালানো হয়, এবং তাদের ঘরবাড়ি, ক্ষেতখামার ও বিদ্যালয়টিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ইলিয়ার ছেলের বিদ্যালয়টি সেসময় থেকেই বন্ধ হয়ে রয়েছে।

ইলিয়ার স্ত্রী, আলহেরি বলেন যে, তারা চান তাদের ছেলেকে একটি নিরাপদ বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে কিন্তু তাদের সেই আর্থিক সক্ষমতা নেই। তিনি বলেন, তারা সবকিছু খুইয়েছেন, তাই অন্য কোন বিদ্যালয়ে যাওয়ার মত অর্থ তাদের নেই।

এই মাসে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা বা ইউনেস্কো জানায় যে, নাইজেরিয়ার ২ কোটিরও বেশি শিশু বিদ্যালয়ের বাইরে রয়েছে। মে মাসে ইউনিসেফ-এর করা একই ধরণের এক জরিপের তুলনায় ইউনেস্কোর এই সংখ্যাটি ২০ লক্ষ বেশি।

তবে, নাইজেরিয়ার কর্তৃপক্ষ এমন তথ্যে দ্বিমত পোষণ করেছে। তারা বলছে যে, পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে এবং শিক্ষার জন্য সরকার অনেক বেশি ব্যয় করছে।

কর্তৃপক্ষ আরও বলেছে যে, নাইজেরিয়ার উত্তরাঞ্চলে অপ্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত শিশুরা ইউনেস্কোর হিসাবে উঠে আসেনি।

তবে, নাইজেরিয়ায় ইউনেস্কোর রিড অ্যান্ড আর্ন ফেডারেশন-এর প্রধান, আবদুলসালামি লাডিগবোলু বলেন যে, প্রতিবেদনটি প্রকাশের আগে সমস্যাটিতে অবদান রাখা অনেকগুলো কারণকেই বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।