উত্তর কোরিয়া দুটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে; উৎক্ষেপণ সংখ্যার রেকর্ড ভঙ্গ

দক্ষিণ কোরিয়ার সোওল রেলওয়ে স্টেশনে একটি টিভি সেটে, ফাইল ফুটেজ ব্যবহার উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন দেখানো হচ্ছে। ১ অক্টোবর, ২০২২।

শনিবার উত্তর কোরিয়া সাগরে আরও দুটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশটি এ বছর তার উৎক্ষেপণ সংখ্যার আগের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা এ কথা জানিয়েছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর মতে, উত্তর কোরিয়া পিয়ংইয়ং থেকে দুটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তাদের পূর্ব উপকূলের সাগরে নিক্ষেপ করেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসের দক্ষিণ কোরিয়া সফরের ঠিক আগে ও পরে এবং এই সপ্তাহ মিলিয়ে উত্তর কোরিয়া মোট ৭টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।

দুই কোরিয়াকে বিভাজনকারী সেনামুক্ত এলাকা পরিদর্শন করার সময় হ্যারিস উত্তর কোরিয়ার “নিষ্ঠুর একনায়কত্বের” নিন্দা জানিয়েছেন এবং বলেছেন, উৎক্ষেপণগুলো “স্পষ্টতই উস্কানিমূলক।”

হ্যারিস দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের সাথেও সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি একজন রক্ষণশীল। তিনি উত্তর কোরিয়ার হুমকির বিরুদ্ধে কঠোর সামরিক প্রতিক্রিয়ার জন্য চাপে রয়েছেন।

বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া ৩৮টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে। এর মধ্যে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এর অর্থ হচ্ছে, দূরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের জন্য এবং স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রগুলো যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার জন্য হুমকি।

যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের মতে, উত্তর কোরিয়া দেশটির সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছে। এই পদক্ষেপ আঞ্চলিক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।

শুক্রবার, যুক্তরাষ্ট্র, দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান ২০১৭ সালের পর, প্রথমবারের মতো কোরিয়ার উপকূলে সাবমেরিন বিরোধী মহড়া করেছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে, জাপানের কোরিয়া দখল সংক্রান্ত বিরোধের কারণে গত কয়েক বছর ধরে সোওল-টোকিও সম্পর্কে টানাপেড়েন চলছে।