ইন্দোনেশিয়ায় ফুটবল ম্যাচে দাঙ্গা, অন্তত ১২৫ জন নিহত

১ অক্টোবর ২০২২ তারিখের এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পূর্ব জাভার মালাং-এর কানজুরুহান স্টেডিয়ামে আরেমা ফুটবল ক্লাব ও পেরসেবায়া সুরাবায়া’র মধ্যে এক ম্যাচের পর একদল মানুষ এক ব্যক্তিকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভার এক ফুটবল স্টেডিয়ামে শনিবার রাতে পদদলিত হয়ে অন্তত ১২৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

পূর্ব জাভা পুলিশ প্রধান, নিকো আফিনটা সংবাদদাতাদের বলেন যে, নিহতদের মধ্যে দুইজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। নিহতদের বেশিরভাগই পদদলিত হয়ে মারা যান।

আফিনটা জানান যে, ইন্দোনেশিয়া প্রিমিয়ার লীগের খেলাটিতে পেরসেবায়া ৩-২ গোলে আরেমা-কে পরাজিত করে। তিনি বলেন, আরেমানিয়া হিসেবে পরিচিত আরেমা দলের সমর্থকরা খেলার ফলাফল নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। তারা আরেমা’র খেলোয়াড় ও টিমকে তাড়া করতে মাঠে ঢুকে পড়েন।

পুলিশ প্রধান বলেন, “পুলিশ কর্মকর্তারা আরেমানিয়াদের দর্শকের সারিতে ফিরে যেতে অনুরোধ করেন কিন্তু তারা সেই অনুরোধ উপেক্ষা করে। আমরা জানিনা কেন মানুষজন ক্রমাগতভাবে বিশৃঙ্খল হয়ে উঠে, এবং অবশেষে পুলিশের উপরও হামলা করে। অবশেষে, পুলিশ ভিড়ের মধ্যে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।

কাঁদানে গ্যাস থেকে বাঁচতে দুই দলেরই শত শত সমর্থক বের হওয়ার ফটকগুলোর দিকে দৌঁড়ে যায়। কিন্তু অনেকেই দমবন্ধ হয়ে পদদলিত হন। আহত শত শত মানুষকে কাছের হাসপাতালগুলোতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের মধ্যে অনেকেই পথিমধ্যে অথবা চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান।

ক্ষুব্ধ মানুষজন পুলিশের ১৩টি গাড়ি ও ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো বলেন যে, তিনি এই মর্মান্তিক ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করছেন। তিনি জানান, তিনি ক্রীড়ামন্ত্রী, পুলিশ প্রধান ও ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধানকে ফুটবল ম্যাচগুলো ও সেগুলোর নিরাপত্তা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন যে, নিরাপত্তা পদ্ধতির উন্নতি সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ম্যাচগুলো সাময়িকভাবে স্থগিত করতেও আদেশ দিয়েছেন তিনি।

ইন্দোনেশিয়ার পুলিশের মুখপাত্র, দেদি প্রাসেতয়ো ভিওএ-কে বলেন যে, স্থানীয় পুলিশকে সহায়তা করতে রাজধানী জাকার্তা থেকে একটি দল পূর্ব জাভার মালাং-এ যাবে।