বুধবার ইসরাইলের মন্ত্রিসভা লেবাননের সাথে সামুদ্রিক সীমানা নির্ধারণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় করা একটি চুক্তিকে অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার আগে সম্ভাব্য ২ সপ্তাহের সংসদীয় পর্যালোচনার পথ প্রশস্ত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিডের কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আইনপ্রণেতা এবং একটি সংসদীয় কমিটির কাছে চুক্তিটির বিশদ পর্যালোচনা করার জন্য ১৪ দিন সময় থাকবে। ফলে ১ নভম্বরের জাতীয় নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে এটি সম্পন্ন হতে যাচ্ছে।
যদি চূড়ান্ত করা হয়, চুক্তিটি হবে একটি ঐতিহাসিক অর্জন। তাই মঙ্গলবার চুক্তিটির সাথে জড়িত ৩টি পক্ষই এটিকে স্বাগত জানিয়েছে। কয়েক দশকের যুদ্ধ এবং বৈরিতা থেকে কূটনৈতিক প্রস্থানের পাশাপাশি এটি সমুদ্র অঞ্চলের জ্বালানি অনুসন্ধানের সুযোগ করে দেবে।
লেবানন এবং ইসরাইল ওয়াশিংটনে চিঠি পাঠালে চুক্তিটি কার্যকর হবে। ওয়াশিংটন তখন চুক্তিটি কার্যকর হওয়ার ঘোষণা দিয়ে একটি নোটিস জারি করবে।
ওই দিন লেবানন এবং ইসরাইল একযোগে সীমানার অবস্থান নির্ধারণ করে জাতিসংঘকে অভিন্ন সমন্বিত সীমানার তথ্য পাঠাবে।
চুক্তি অনুসারে এর সীমানা যা বিবাদপূর্ণ স্থল সীমান্ত থেকে প্রসারিত হয়ে বয়াগুলোর একটি লাইনের পশ্চিমে শুরু হবে।চুক্তির বিষয়বস্তু অনুসারে, সেই বয়াগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় থাকবে।
চুক্তির পক্ষগুলো ওয়াশিংটনকে চলমান মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বিবেচনা করে। যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে তারা যেকোনো সামুদ্রিক মতপার্থক্যের সমাধান চাইবে।
লেবাননের গভীর অর্থনৈতিক সংকটও এই চুক্তিটি দ্রুত সম্পন্ন হওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব রেখেছে। কারণ উত্তোলিত গ্যাস থেকে সম্ভাব্য আদায়কৃত রাজস্ব রাষ্ট্রীয় কোষাগার পূরণ করতে বা অন্তত দীর্ঘস্থায়ী বিদ্যুতের ঘাটতি কমাতে সহায়তা করতে পারে।