খামেনি: ইরান 'শক্তিশালী বৃক্ষ' যা উপড়ে ফেলা যাবে না

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি শুক্রবার বলেছেন, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রকে উৎখাত করা যাবে বলে কেউ ভাবতে সাহস পাবে না। পুলিশ হেফাজতে মাহসা আমিনীর মৃত্যুর পর দেশব্যাপী অস্থিরতা শুরু হওয়ার চতুর্থ সপ্তাহে বিক্ষোভকারীদের প্রতি এটি ছিল খামেনির সবচেয়ে কঠিন সতর্কবার্তা।

ইরানী কুর্দি নারীর "অনুপযুক্ত পোশাকে"র কারণে গ্রেপ্তারের পর তার মৃত্যু, সমাজের সর্বস্তরের মানুষের বিক্ষোভে খামেনির পতন এবং "ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের মৃত্যু"’র ব্যাপক আহ্বানে পরিণত হয়েছে।

এই বিক্ষোভগুলি ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের পর থেকে ধর্মীয় শাসনের সবচেয়ে সাহসী চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি।

খামেনি ইসলামী প্রজাতন্ত্রকে একটি অবিচল বৃক্ষের সাথে তুলনা করেছেন।

রাষ্ট্রীয় টিভিতে দেখানো মন্তব্যে তিনি বলেন, "সেই চারাটি এখন একটি শক্তিশালী গাছ, এবং কারুর এটিকে উপড়ে ফেলার সাহস দেখানো উচিত নয়।"

কিছু মারাত্মক বিক্ষোভ জাতিগোষ্ঠীগত সংখ্যালঘুদের আবাসস্থলে হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে উত্তর-পশ্চিমে কুর্দি এবং দক্ষিণ-পূর্বে বেলুচি অঞ্চল। তাদের রাজ্যের বিরুদ্ধে দীর্ঘস্থায়ী অভিযোগ ছিল।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এই সরকারি অভিযানে ২০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে কিশোরীরাও রয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে, অন্তত ২৩ জন শিশু মারা গেছে।

যদিও বেশির ভাগ কর্মকর্তা নিরাপোষ থাকছেন , খামেনির একজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে এ সপ্তাহে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে যে তিনি প্রশ্ন রেখেছেন যে পুলিশ কি জোর করে হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করতে চায় । এটি হচ্ছে হিজাব আরোপ করার রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে একটি বিরল সমালোচনা।

আমিনির মৃত্যু এবং প্রতিবাদ বিক্ষোভের বিরুদ্ধে দমন-নিপীড়ন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা শক্তির তীব্র নিন্দা কুড়িয়েছে আর এর বিরুদ্ধে ইরানি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ সব ঘটনা এমন এক সময়ে হচ্ছে যে ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরু্জ্জীবনের আলোচনা থমকে আছে।