উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, তারা তাদের পশ্চিম উপকূলের একটি বিতর্কিত এলাকার কাছে সতর্কীকরণ গুলি বিনিময় করেছে। এটি কোরীয় উপদ্বীপে সামরিক উত্তেজনার সর্বশেষ দফা।
ঘটনার পর সোমবার দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ঘোষণা করেছে, তারা তাদের পশ্চিম উপকূলের সমুদ্রে “শত্রুর উস্কানির প্রস্তুতিতে” বৃহৎ মহড়া করবে।
উত্তর কোরিয়া এ বছর নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানোয় উত্তেজনা বেড়েছে। এছাড়াও উদ্বেগ রয়েছে যে, শীঘ্রই উত্তর কোরিয়া ২০০৬ সালের পর থেকে সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে পারে।
এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্র দক্ষিণ কোরিয়া সামরিক শক্তির প্রদর্শন বাড়িয়েছে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পিছিয়ে যাওয়া যৌথ প্রতিরক্ষা মহড়া বাড়িয়েছে।
২০১৮ সালে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া ঐতিহাসিক আলোচনায় বসেছিল। এতে বেশ কয়েকটি চুক্তি হয়েছে যা ভাগ করা সীমান্ত এলাকায় সামরিক উত্তেজনা হ্রাস করেছে। কিন্তু উত্তর কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সমান্তরালভাবে চলা পরমাণু আলোচনায় অগ্রগতির অভাবে হতাশ হয়ে আলোচনা থেকে দ্রুতই সরে আসে।
এই বছর উত্তর কোরিয়া রেকর্ড পরিমাণ ৪১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। পারমাণবিক রাষ্ট্র হিসেবে দেশটির মর্যাদার ওপর জোর দিয়ে নতুন একটি আইন পাস করেছে এবং কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানোর ক্ষমতা নিয়ে গর্ব করেছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের সাথে আলোচনার আগে সুবিধা তৈরি করার জন্য পিয়ংইয়ং দীর্ঘমেয়াদী কৌশল হাতে নিয়েছে।
অস্ত্র পরীক্ষা চালানোর জন্য উত্তর কোরিয়ার আরও অনেক সম্ভাব্য কারণ রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নতুন সক্ষমতা তৈরি, প্রতিরোধ প্রদর্শন করা এবং নিজেদের জনগণকে সংকল্পের ইঙ্গিত দেয়া।