বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, “মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো সমঝোতা নয়।” বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো ভেজাল খাদ্য দিয়ে দেশ ভরে গেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “যে খাবারগুলো আমরা খাচ্ছি তার প্রায় সব ভেজাল মেশানো। চাল, ডাল, মশলা, মাছ থেকে শুরু করে শাকসবজি-সহ প্রায় সব খাদ্যেই বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানো হচ্ছে। সেই বিষ মেশানো খাবারগুলো আমরা নিজেরা খাচ্ছি, আমাদের পরিবারের ছোট-বড় সবাই খাচ্ছে। ভেজাল খাদ্যের কারণে মানুষের দেহে ক্যান্সার, কিডনী সমস্যা সহ জটিল রোগ দ্বিগুণ হারে বেড়ে যাচ্ছে।”
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাজধানী ঢাকায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে স্বাস্থ্য সেবার মান বৃদ্ধিতে করণীয় নিয়ে মত বিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
জাহিদ মালেক বলেন, “ভেজাল খাবারের কারণেই দেশে ওষুধের ব্যবসা এত বেড়ে গেছে। হাসপাতালে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি হাসপাতালে রোগীদের এখন জায়গা দেওয়া যাচ্ছে না। উন্নত দেশগুলোতে আর যাই হোক, খাদ্যে বিষ মেশালে সেই কোম্পানি যত ক্ষমতাধরই হোক, কোনো ছাড় দেওয়া হয়না। আমাদের দেশে এখন হোটেলে ভেজাল খাবার, দোকানে ভেজাল খাবার, বাজারে ভেজাল খাবার, সবখানে ভেজাল খাবার দেওয়া হচ্ছে। মানুষ যাবে কোথায়? খাবেন কী? এভাবে তো চলতে দেওয়া যায়না।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুস্থ জীবন দিতে হলে এই ভেজাল কারবারিদের এখনই থামিয়ে দিতে হবে। খাদ্যে ভেজাল দেওয়া বন্ধ করতে হবে। এটি করতে আমাদের স্বাস্থ্য খাতের ভুমিকা আরও জোরালো করার পাশাপাশি, সমাজের সকল স্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে এবং একযোগে কাজ করতে হবে।”
জাহিদ মালেক বলেন, “ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধ কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সেটি নিয়ে পড়ে থাকলে এই ভেজাল আর বন্ধ হবে না। ভেজাল প্রতিরোধ করা ও নিয়ন্ত্রণ করা অন্য মন্ত্রণালয়ের কাজ হতে পারে। কিন্তু চিকিৎসা সেবা-তো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দিতে হবে।” তিনি বলেন, “আগামী এক মাসের মধ্যেই স্বাস্থ্যখাতের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট কিছু টিম গঠন করে মাঠে নেমে যেতে হবে এবং সুনির্দিষ্ট রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। সেই রিপোর্ট নিয়ে উচ্চ পর্যায়ে আমরা বসে খুব দ্রুত এর সমাধান বের করব।”