কপ-২৭ এ বৃহত্তর জলবায়ু প্রতিশ্রুতি দেয়ার জন্য জি-২০ দেশগুলোর ওপর চাপ

মিশরের লোহিত সাগরের কাছে শার্ম আল-শেখে সম্মেলন স্থলে যাওয়ার রাস্তায় কপ-২৭ সাইনবোর্ড। ২০ অক্টোবর, ২০২২।

কপ-২৭ নামে পরিচিত জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন পরের সপ্তাহে মিশরের শার্ম আল-শেখে শুরু হবে। জলবায়ু পরিবর্তন কর্মীরা সম্মেলনে বড় প্রতিশ্রুতি দেয়ার জন্য উন্নত দেশগুলোর প্রধান নির্গমনকারীদের চাপ দিচ্ছে।

জাতিসংঘের পরিবেশ সংস্থার সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনো ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তির লক্ষ্য থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ সেন্টিগ্রেড মাত্রার নিচে রাখার জন্য কোনো নির্ভরযোগ্য পথ নেই।

কার্বন নিঃসরণ কমানোর জন্য সরকারের পরিকল্পনা এখনো অপর্যাপ্ত। পরিবেশবাদী নেতারা উন্নত দেশগুলোকে আরও কিছু পদক্ষেপ নিতে বলছে।

সম্মেলনটি এমন এক সময় হচ্ছে যখন হর্ন অফ আফ্রিকা নামে পরিচিত সোমালিয়ায় রেকর্ড পরিমাণ খরা এবং দুর্ভিক্ষের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী কার্বন নিঃসরণের মাত্র ৪ শতাংশ আফ্রিকা থেকে নির্গত হয় তবুও মহাদেশটি খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, ক্রমবর্ধমান সংঘর্ষ এবং আরও গুরুতর আবহাওয়া সংক্রান্ত পরিণামসহ বৈশ্বিক উষ্ণায়নের প্রভাব ভোগ করছে।

যেহেতু এ সকল বিপর্যয়ে লাখ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, তাই কপ-২৭ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করতে পারে এমন বৈশ্বিক লক্ষ্যগুলোর জন্য আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার একটি সুযোগ প্রদান করছে।

নাইরোবিতে প্রকৃতি সংরক্ষণের নীতি ও সরকারি সম্পর্ক বিষয়ক আফ্রিকার পরিচালক মুহতারি আমিকু কানো ৩টি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে বিনিয়োগের তালিকা দিয়েছেনঃ প্রযুক্তিগত স্থানান্তর, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পর্যাপ্ত আর্থিক সংস্থান, "কারণ এই ৩টি উপাদান ব্যতীত এই আলোচনা অর্থহীন।"

বিজ্ঞানীরা বলছেন জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য সুসমন্বিত বৈশ্বিক পদক্ষেপের প্রয়োজন যেখানে প্রত্যেকের ভূমিকা পালন করতে হবে। গ্লাসগোতে গত বছরের কপ-২৬ সম্মেলনে অনেক প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছিল। শারম আল-শেখ সম্মেলনের আলোচনা অনেকে নিবিড়ভাবে লক্ষ্য করবে।