যুক্তরাষ্ট্র সোমালিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস)এর সহযোগী সংগঠনের কাছে অস্ত্রের প্রবাহ বন্ধ করার চেষ্টা করছে। তারা চোরাচালানের মাধ্যমে আল-কায়েদার সাথে যুক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী আল-শাবাবকে ইরান থেকে অস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করতে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট মঙ্গলবার ইয়েমেন ও সোমালিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ লক্ষ ডলারের অস্ত্র পাচারের প্রচেষ্টার সাথে জড়িত আট ব্যক্তি এবং একটি সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে আব্দিরহমান ফাহিয়ে, আইএস-সোমালিয়ার প্রতিদিনের অভিযানের নেতৃত্ব দেন বলে অনুমান করা হয়। তাছাড়া আছেন, আইএস-সোমালিয়ার গোয়েন্দা শাখার প্রধান মোহাম্মদ আহমেদ কাহিয়ে এবং আইএস-এর হয়ে কাজ করা সাবেক জলদস্যু ইসে মোহামুদ ইউসুফ।
সন্ত্রাসবাদ এবং আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার আন্ডারসেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন এক বিবৃতিতে বলেন, এই নিষেধাজ্ঞাগুলি "আইএসআইএস-সোমালিয়া এবং আল-শাবাব উভয়কেই অর্থায়ন এবং সরবরাহ করে এমন সব নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে কাজ করবে”।
ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের মঙ্গলবারের পদক্ষেপটির লক্ষ্য আল-শাবাবের অর্থ সংগ্রহের ক্ষমতাকে পঙ্গু করে দেওয়া।
মার্কিন ট্রেজারি কর্মকর্তাদের মতে, এটি একটি বড় ব্যবসা যাতে ইরানও অন্যান্য চোরাচালানিদের মতই উপার্জনের একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখছে।
আইএস-সোমালিয়ার সদস্য ও অস্ত্র চোরাচালানকারী আব্দিরহমান মোহাম্মদ ওমর গত চার বছরে ২০ লাখ ডলারেরও বেশি লেনদেন সম্পন্ন করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি এর মাধ্যমে একে-৪৭ মেশিনগান ও রকেট চালিত গ্রেনেডের মতো অস্ত্রও সংগ্রহ করেছেন নিজ দলের এবং আল-শাবাবের জন্য।
এমনকি আইএস-সোমালিয়ার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করার বাইরে নন।
তবে সমস্ত অস্ত্র এবং অর্থ কোথায় যাচ্ছে তা নিয়ে সাম্প্রতিক কিছু গোয়েন্দা অনুমানের ভিত্তিতে এই গোষ্ঠীর সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।