মানহানির অভিযোগে ঢাকা ও নড়াইলে দায়ের করা দু’টি মামলায়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। মামলা দু’টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৭ নভেম্বর) খালেদা জিয়ার পক্ষে করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষে, বিচারপতি মো. মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম এই আদেশ দেন। আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগে, ঐ বছরের ২৪ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলে মানহানির মামলা করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ফারুকী ইমাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি এবি সিদ্দিকীও একই অভিযোগে ঢাকায় মামলা করেন।
নড়াইলের মামলায় ২০১৮ সালের ১৩ আগস্ট এবং ঢাকার মামলায় একই বছরের ১৪ আগস্ট খালেদা জিয়াকে ৬ মাসের জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে এই দুই মামলায় হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আপিল বিভাগও এই জামিন বহাল রাখেন।
এরপর আরও কয়েক দফা এই দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সোমবার মামলা দু’টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে।
দুলুর মামলা শেষ করতে হবে এক বছরে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলাটির বিচার কার্যক্রম ১২ বছর ধরে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিত হয়ে আছে। সোমবার হাইকোর্ট বেঞ্চ দুলুর মামলাটির রুল খারিজ করে রায় দিয়েছেন এবং আগামী এক বছরের মধ্যে মামলাটি বিচারিক আদালতকে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
দুলুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক ২০০৯ সালের ২১ জানুয়ারি লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করে। মামলায় এক কোটি ৬১ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। এ মামলায় একই বছরে দুদক চার্জশিট দাখিল করে। এরপর মামলা বাতিলের আবেদন জানালে, হাইকোর্ট ২৫ আগস্ট ২০১০ সালে মামলার বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন।
হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের কারণে মামলার বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। সোমবার এই রায়ের ফলে মামলাটি সচল হলো।