সরকার অপচয় করে না, অর্থ ব্যয় হয় মানুষের কল্যাণে: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে আওয়ামী লীগ সরকার এ দেশের একটি টাকাও অপচয় করে না। প্রতিটি অর্থ ব্যয় করে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থে-কল্যাণে এবং তাদের ভালো-মন্দ দেখে। শনিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের উদ্বোধনকালে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ প্রকল্প উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “সরকার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে বিনিয়োগ করছে। কেননা অন্য দেশের ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে সেই ডলার সুদসহ পরিশোধ করতে হবে। সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে নিজেদের ডলার ব্যবহার করলে সেই টাকা আমাদের দেশেই থেকে যায়। সে কথা মাথায় রেখে আমরা ৮০০ কোটি ডলার দিয়েছি।”

এছাড়া, গভীর অর্থনৈতিক সংকটে থাকাকালে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কাকে কিছু ডলার ঋণ হিসেবে দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, “বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের টাকা নিয়ে প্রায়ই প্রশ্ন করে বিএনপি।”

শেখ হাসিনা আরও বলেন, “দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে পয়সা কেউ তুলে নিয়ে চলে যায়নি। সবসময় তাদের (বিএনপির) মনে এই ভয় থাকে। বিএনপি এ কথাই বলবে। এর পেছনের কারণ হলো অর্থ পাচার মামলায় তাদের নেতার সাত বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছে।” তিনি বলেন, “রিজার্ভের পরিমাণ কমে যাওয়া নিয়ে তারা (বিএনপি) অপপ্রচার চালাচ্ছে।”

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন বিশ্ব খুলতে শুরু করে, তখন আমদানি বেড়েছে। বিশেষ করে করোনাভাইরাস ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে মুদ্রাস্ফীতি ও মন্দা বিশ্ব অর্থনীতিকে ধাক্কা দিয়েছে এবং বাংলাদেশও এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা আমাদের আমদানি ব্যয় রিজার্ভ মানি থেকে পরিশোধ করছি, পাশাপাশি আমরা বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিয়েছি এবং বিনামূল্যে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো এই টিকাদান ও পরীক্ষা বিনামূল্যে করেনি। আমরা নগদ টাকা দিয়ে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করেছি। এর পর, আমরা অনুদান হিসেবে টিকা পেয়েছি।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পরিবহন খরচ,খাদ্য, জ্বালানি, ভোজ্যতেল, গম, মসুর ডাল ও ভুট্টার দাম বিশ্বজুড়ে বেড়েছে। আমরা এগুলো আমদানি করছি। আমরা চাল ও অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন করছি, এর বাইরে আমাদের আরও কিছু জিনিস আমদানি করতে হবে। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সময় আমাদের কিছু জিনিস আমদানি করতে হয়েছে।”

তিনি বলেন, “সরকার যা ব্যয় করছে তা শুধু দেশের জনগণ ও তাদের কল্যাণে। তাদের জন্য নগদ অর্থ দিয়ে খাদ্য সংগ্রহ, ক্যান্সারের ওষুধ, সার, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংগ্রহের কাজ করছি। রিজার্ভের টাকা দিয়ে আমরা বিমান কিনেছি। নদী ড্রেজিং নিজেদের রিজার্ভের টাকা দিয়ে করেছি।”

ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প দ্রুত শেষ করতে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।