বাংলাদেশের নৌযান শ্রমিকরা ১০ দফা দাবিতে, রবিবার (২৭ নভেম্বর) অর্থাৎ, শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে, সারাদেশে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবে। এই কর্মসূচি সফল করতে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নৌযান শ্রমিকরা ।
শনিবার বেলা ১১টায় বিভাগীয় নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে, বরিশাল নদী বন্দর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি নগরীর প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে, অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এসে বিক্ষোভ করে। পরে পুনরায় বিক্ষোভ মিছিল করে নদী বন্দরে যায়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের নেতা একে আজাদ, শ্রমিক জোটের সমন্বয়কারী মোজাম্মেল সিকদার ও হারুনুর রশিদ সিকদার।
নজরুল ইসলাম জানান, শনিবার ২৬ নভেম্বরের মধ্যে আমাদের ১০ দফা দাবি আদায় না হলে, রাত ১২টা থেকে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করবে সারা বাংলাদেশের নৌযান শ্রমিকরা।”
শ্রমিকদের ১০ দফা দাবি গুলোর মধ্যে রয়েছে: নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদান; নৌযান শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ; খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা এবং দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা; চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা; বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের ওপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা।
অন্য যে দাবিগুলো রয়েছে, সেগুলো হলো: নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ করা; ভারতগামী শ্রমিকদের লান্ডিং পাস প্রদানসহ ভারতীয় সীমানায় সকল প্রকার হয়রানি বন্ধ করা; চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করে সব লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা; চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল করা এবং নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা।