কঙ্গো বলছে, 'গণহত্যায়' ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে

গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের উত্তর কিভু প্রদেশের রাজধানী গোমা থেকে ৬২ কিলোমিটার পশ্চিমে কারুবা শহরে হেঁটে যাচ্ছে এম-২৩ বিদ্রোহী বাহিনীর যোদ্ধারা, ২৮ নভেম্বর, ২০১২।

ডিআর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে বেসামরিক নাগরিকদের কথিত হত্যাকাণ্ডের পর, শনিবার তিন দিনের জাতীয় শোক পালন শুরু হয়েছে। দেশটির সরকারে পক্ষ থেকে এখন বলা হচ্ছে যে ঐ হত্যাকাণ্ডে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে

বেশ কয়েক মাস ধরে এম-২৩ মিলিশিয়া বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে আছে কঙ্গো সরকার। বৃহস্পতিবার দেশটির সরকার তাদের বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ করেছে। বলেছে, তাদের বিচারের জন্য অবিলম্বে একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করা হবে এবং একইসঙ্গে গোমা শহর থেকে ৭০কিলোমিটার দূরের গ্রাম কিশিসেতে ৫০ ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যার বিচারে আন্তর্জাতিক তদন্ত শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

এম-২৩ পাল্টা বক্তব্যে, এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করে। আর, তারা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যে পরিণত করার কথা অস্বীকার করে।

সরকারের মুখপাত্র প্যাট্রিক মুয়ায়া জানান, শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদের এক বৈঠকে ডিআর কঙ্গো'র প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি, কিশিসে হত্যাকাণ্ডে ১০০ জনেরও বেশি নাগরিককের খুনের ঘটনায় কঠোর ভাষায় নিন্দা জানিয়েছেন।

ঐ মুখপাত্র আরও জানান, প্রেসিডেন্ট শিসেকেদি সরকারকে তিন দিনের জাতীয় শোক ঘোষণার নির্দেশ দিয়েছেন। এ সময় সারা দেশে পতাকা অর্ধনমিত রাখার কথা বলেন প্রেসিডেন্ট শিসেকেদি।

তিনি বলেন শিসেকেদি “সরকারকে তিন দিনের শোক পালনের নির্দেশ দিয়েছেন”। তিনি আরও বলেন গোটা দেশে পতাকা অর্ধ-নমিত রাখা হবে।

মুয়ায়া জানান, সোমবার নিহতদের সহায়তার জন্য একটি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি তহবিল সংগ্রহ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শোক পালন শেষ হবে।

হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে একটি স্বাধীন তদন্তের দাবি জোরদার হচ্ছে।

মুয়ায়া বলেন, প্রেসিডেন্ট তদন্তমন্ত্রীকে এই যুদ্ধাপরাধের ওপর আলোকপাত করতে বলেছেন।

মার্চ-টুয়েন্টি থ্রি মুভমেন্ট বা এম-২৩, কঙ্গোর একটি তুতসি প্রাধান্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠীটি বহু বছর নিষ্ক্রিয় ছিল।

এটি গত বছরের নভেম্বরে আবার সশস্ত্র তৎপরতা শুরু করে এবং জুনে উগান্ডার সীমান্তবর্তী বুনাগানা শহর দখল করে নেয়।

অল্প সময় শান্ত থাকার পর, গোষ্ঠীটি অক্টোবরে আবারও আক্রমণ শুরু করে, ব্যাপক অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে থাকে এবং গোমার দিকে অগ্রসর হতে থাকে।

কিনশাসা অভিযোগ করেছে, তাদের ক্ষুদ্র প্রতিবেশী রুয়ান্ডা এম-২৩ গোষ্ঠিকে সমর্থন করছে। জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞ এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এমন ইঙ্গিত করেছেন। তবে, কিগালি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।