ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দলের স্বার্থে সংবিধান ব্যবহার কখনো ভালো উদাহরণ নয়: রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, “ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও দলের স্বার্থে সংবিধানকে কাজে লাগানো কখনোই ভালো উদাহরণ হতে পারে না।” তিনি সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী যেকোনো কর্মকাণ্ড ও চক্রান্ত প্রতিরোধে, জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে, বাংলাদেশের সংবিধান বাস্তবায়ন ও সুপ্রিম কোর্টের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ আহবান জানান।রাষ্ট্রপতি বলেন, “গণতন্ত্রের চর্চা ও মূল্যবোধের বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে সংবিধানের কার্যকারিতা ও মর্যাদা বাড়বে।”

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টকে ‘সংবিধানের অভিভাবক’ উল্লেখ করে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি বলেন, “সংবিধানের পবিত্রতা ও মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে নির্বাহী, আইন ও বিচার বিভাগকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।” এ বিষয়ে বিচার বিভাগ ও আইনজীবীদের অগ্রণী ভূমিকা পালনের কথা মনে করিয়ে দেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধু সংবিধানে একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন। যেখানে সুপ্রিম কোর্ট এবং অধস্তন আদালত তাদের নিজ নিজ এখতিয়ার ও সীমার মধ্যে আইন অনুযায়ী স্বাধীনভাবে বিচারিক কাজ পরিচালনা করবে। ১৯৭২ সালের ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট যাত্রা শুরু করলে, বঙ্গবন্ধুর আকাঙ্খা পূরণের প্রথম ধাপ নিশ্চিত হয়।”

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রশংসা করেন এবং বলেন যে এই প্রতিষ্ঠানটি মানবাধিকার রক্ষা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি শান্তি ও সংকটের সময়ে সংবিধানের অভিভাবক ও রক্ষক হিসেবে মর্যাদাপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শ্রীলঙ্কার প্রধান বিচারপতি জয়ন্ত জয়সুরিয়া। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।