অগ্রগতির জন্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অবদান অনস্বীকার্য: রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ‍

বড়দিন উপলক্ষে বঙ্গভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২।

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, “আমাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পেছনে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ইতিবাচক অবদান অনস্বীকার্য। আর বঙ্গ্ন্ধু একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন।”

রবিবার(২৫ ডিসেম্বর) বড়দিন উপলক্ষে বঙ্গভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক।মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান নির্বিশেষে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি।”

বাংলাদেশকে শান্তি ও সমৃদ্ধির দেশ হিসেবে অভিহিত করেন তিনি। বলেন, “এ অর্জনের পেছনে রয়েছে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবার নিরলস পরিশ্রম ও নিরন্তর প্রচেষ্টা।”

বাংলাদেশের সংবিধান বৈষম্য ছাড়াই সবার সমান অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান যথাযথ মর্যাদা ও আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করবে- এটাই সবার প্রত্যাশা।”

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বাঙালির চিরন্তন ঐতিহ্য এবং বিশ্ব স্বীকৃত উপাদান হিসেবে উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, “এই ঐতিহ্যকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে নিতে হবে। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যাতে এই সম্প্রীতির বন্ধনকে নষ্ট করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।”

বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সকলের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বের বন্ধন আরও গভীর হবে বলে কামনা করেন। তিনি বলেন, “ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলের মধ্যে এই দিবসের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে পারলেই এই দিবসের উদযাপন তাৎপর্যপূর্ণ হবে।”

যীশু খ্রীষ্টকে মানবজাতির সঠিক পথের পথপ্রদর্শক হিসেবে উল্লেখ করে আবদুল হামিদ বলেন, “তিনি (যীশু খ্রিস্ট) ঈশ্বরের মহিমা এবং খ্রিস্টান ধর্মের শুভ বার্তা প্রচার করেছেন।তিনি মানুষের মধ্যে ভালবাসা, সেবা, ক্ষমা, ন্যায়বিচার সহ শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের শিক্ষা দেন।পার্থিব সুখের পরিবর্তে, যীশু খ্রিস্ট ত্যাগ, সংযম এবং দানের মাধ্যমে চিরন্তন সুখ অর্জনের ওপর জোর দিয়েছেন।”

আবদুল হামিদ বাংলাদেশ ও বিশ্বের সকল খ্রিস্টানদের বড়দিনের শুভেচ্ছা জানান।খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি হামিদ বঙ্গভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।