তুরস্কের কাছে প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন যে উভয় দেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সহযোগিতা ছাড়াও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে। আর, রাষ্ট্রদূত ওসমান তুরান উল্লেখ করেন যে তার দেশ প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎ তুরস্কের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য-লেখক এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

এম নজরুল ইসলাম বলেন যে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেছেন ইতোমধ্যেই তার দেশের দুটি কোম্পানি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে চলতি বছর ৮৫ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে নজরুল জানান যে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিশেষ করে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে বলে উল্লেখ করেছেন রাষ্ট্রদূত তুরান।

প্রধানমন্ত্রী বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার অনুরোধ জানান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধন রয়েছে। উভয় দেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সহযোগিতা ছাড়াও প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে।”

শেখ হাসিনা দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে সংলাপ করতে বাংলাদেশে যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের বৈঠক আয়োজনের ওপর জোর দেন। সর্বশেষ কমিশন সভা ২০১৯ সালে ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন যে তার দেশ, প্রতিরক্ষা খাতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আগ্রহী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে, তুরস্কের প্রতি অনুরোধ জানান। কারণ, ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশের জন্য গুরুতর বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। জবাবে রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার দেশের অব্যাহত সমর্থনের আশ্বাস দেন।

বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।