পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বুধবার জেনেভায় এই সপ্তাহের সম্মেলনে ৯ শ' ৭০ কোটি ডলারের প্রতিশ্রুতি দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রশংসা করেছেন।
বৈশ্বিক সম্প্রদায় বিধ্বংসী জলবায়ুপ্ররোচিত গ্রীষ্মকালীন বন্যা থেকে ইসলামাবাদের পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করার অঙ্গীকার করেছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং শাহবাজ শরীফ সোমবার দিনব্যাপী সম্মেলনের সহ-আয়োজক ছিলেন।সম্মেলনে কয়েক ডজন দেশের প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক আর্থিকপ্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি দাতারা উপস্থিত ছিলেন।
শরীফ ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বন্যা থেকে পুনরুদ্ধার এবং পুনর্নির্মাণের জন্য প্রতিশ্রুত অর্থের সর্বমোট পরিমাণ আগামী ৩ বছরে প্রয়োজনীয় ১শ ৬৩ কোটি ডলারের অর্ধেক প্রদানের জন্য বিদেশী দাতাদের যে লক্ষ্যমাত্রা তা অতিক্রম করেছে।
বৃহৎ দাতাএদর মধ্যে ছিল ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক, বিশ্বব্যাংক, সৌদি আরব,ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র,চীন যুক্তরাষ্ট্র , চীন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন অন্যতম বৃহৎ দাতাদের মধ্যে ছিলেন। পাইকস্তানি কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রতিশ্রুত অর্থের প্রায় ৯০ শতাংশ প্রকল্প-অর্থায়ন ঋণ।
জাতিসংঘ এবং পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের মতে, গত বছরের জুন থেকে আগস্টের মধ্যে অভূতপূর্ব অনিয়মিত বর্ষাকালীন বৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যায় ৩ কোটি ৩০ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ৮০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, ১৭শ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং অতিরিক্ত ৯১ লাখ মানুষ দারিদ্র সীমার নিচে চলে গেছে।
সমালোচকরা বলেছেন, স্ফীত প্রকল্প ব্যয়, দুর্নীতি এবং প্রাপক দেশগুলোর কর্তৃপক্ষের দ্বারা প্রতারণাসহ একাধিক কারণে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে দেয়া প্রতিশ্রুতি প্রায়শই সম্পূর্ণরূপে বাস্তবায়িত হয় না।
পাকিস্তানে পূর্ববর্তী একাধিক নিরপেক্ষ তদন্তে ২০০৫ সালে একটি বিধ্বংসী ভূমিকম্প এবং ২০১০ সালের বর্ষার ফলে সৃষ্ট বন্যার বিপর্যয়ের পরে গৃহীত ত্রাণ কর্মসূচীতে ব্যাপক দুর্নীতি এবং জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।