প্রেসিডেন্টস ডে 🇺🇸 অপ্রতিদ্বন্দ্বী ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’
✈️ বর্তমানে সম্পূর্ণ কাস্টমাইজড দু’টি বোয়িং ৭৪৭-২০০বি (ভিসি-টোয়েন্টিফাইভএ) বিমানের একটি হল ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’।
✈️ ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ এই সাংকেতিক নামের ব্যবহার শুরু হয় ১৯৫৩ সালে।
✈️ ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’-এ মাঝ আকাশেও জ্বালানী ভরা সম্ভব। সেইজন্য এই বিশেষ বিমান আকাশে অনির্দিষ্ট কালের জন্য থাকতে পারে।
✈️ ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ চূড়ান্তভাবে সুরক্ষিত। নিরাপত্তার স্বার্থে এর সুরক্ষা ব্যবস্থার সম্পূর্ণটা কখনওই প্রকাশিত না হলেও জানা যায় আকাশপথে কখনও পারমাণবিক আক্রমণের মধ্যে পড়লে এটি বাঙ্কার হিসাবে কাজ করতে পারে এবং আকাশপথে মিসাইল আক্রমণও প্রতিহত করতে সক্ষম ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’।
✈️ ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’-এর গায়ে লেখা থাকে ‘ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা’, থাকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পতাকা ও প্রেসিডেন্ট-এর সিল।
✈️ ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’-এর ভেতরে তিনটি তলা মোট ৪০০০ স্কোয়ার ফিট-এ বিস্তৃত। এর ভেতরে রয়েছে প্রেসিডেন্ট-এর বিশাল বড় অফিস, কনফারেন্স রুম, তার শোওয়ার ব্যবস্থা, জিম, চিকিৎসক সহ সম্পূর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং বিশেষ রন্ধনকর্মী বা শেফ-এর তত্ত্বাবধানে প্রেসিডেন্ট-এর পছন্দ মতো খাবারের ব্যবস্থা করার জন্য রয়েছে দু’টি রান্নাঘর।
✈️ ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’-এ সর্বোচ্চ ৭০-৭৬ জন যাত্রী থাকতে পারেন। যাদের মধ্যে থাকেন বিমানের কর্মীরা, প্রেসিডেন্ট-এর কর্মীদলের সদস্যরা, নিরাপত্তা আধিকারিক ও নিরাপত্তা রক্ষীরা, চিকিৎসকেরা, রাঁধুনিরা ও বিশেষ অতিথিরা। অনেক সময় কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য সাংবাদিকেরাও এতে প্রেসিডেন্ট-এর সফরসঙ্গী হন। প্রেসিডেন্ট-এর জন্য এতে রয়েছে পৃথক প্রবেশ ও নিগর্মনের পথ।
✈️ ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’-কে কখনও কোনও টার্মিনালে দেখা যায় না। কারণ এটি কখনওই কোনও টার্মিনাল-এ নামে না। যেখানে ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’ নামে, সে সেখানেই অপেক্ষা করে, যাতে যেকোনও জরুরি পরিস্থিতিতে কয়েক মিনিটের নোটিসেই তা প্রেসিডেন্টকে নিয়ে উড়ান শুরু করতে পারে।
✈️ ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’-এর গতি ঘন্টায় ৬০০ মাইল এবং এটি সর্বোচ্চ ৪৫,১০০ ফিট অল্টিটিউড পর্যন্ত পৌঁছতে পারে।
✈️ আনুমানিক ২০০,০০০ ইউএস ডলার এক ঘন্টায় খরচ হয় ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’কে চালনা করার জন্য।
✈️ ‘এয়ার ফোর্স ওয়ান’কে নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধান করে প্রেসিডেনশিয়াল এয়ারলিফট গ্রুপ, যা হোয়াইট হাউজ মিলিটারি অফিস-এর অংশ।