চালকের আসন থেকে

Your browser doesn’t support HTML5

প্রথম মেট্রো ট্রেনের চালক আস্‌মা আক্তার (৩১)।

পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্‌স দু’টোতেই ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছিলেন তিনি। তারপর ঢাকা ম্যাস ট্রানজিটে (ডিএমটি) স্টেশন কন্ট্রোলারের চাকরি নেন। বর্তমানে ট্রেন অপারেটরের দায়িত্ব পালন করছেন।
ইউনিফর্মটা যেমন সমাজে সম্মান দিয়েছে, তেমনই টাইম ম্যানেজমেন্ট ও দায়িত্ববোধ সম্পর্কে অনেক কিছু শিখিয়েছে, ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন আক্তার।
“এখন আমি এখনকার কাজ এখনই করে ফেলতে পারি”, তিনি বলেন।
আক্তারের সহকর্মী মরিয়ম আফিজা (২৬) ডিএমটি-র অপর নারী ট্রেন অপারেটর। উদ্বোধনের দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে ট্রেনে উঠেছিলেন, তা চালানোর দায়িত্ব ছিল আফিজার উপর।
পৃথিবীতে আফিজার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ তার বাবা। বাবা চাইতেন, ছেলে-মেয়েরা মানুষ হবে। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষে মেট্রো অপারেটরের চাকরি পাবার পর বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে গর্বিত তিনি।
“প্রতিটি নারীর উচিত, সে তার নিজের জন্য একটা আইডেন্টিটি তৈরি করবে”, ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন আফিজা, “তারপর সমাজ অবশ্যই তার দৃষ্টিভঙ্গিটা চেঞ্জ করে নিবে।”
"সমাজে প্রতিষ্ঠা পেতে কর্ম জীবনে অনেক উদ্যমী হতে হয়, শুধু প্রতিভা থাকলেই হয় না" - একথা ভালোভাবেই মানেন আস্‌মা আক্তার।
প্রেগন্যান্ট অবস্থায় জাপানে গিয়ে মেট্রো রেল বিষয়ক প্রশিক্ষন নিয়েছেন। এখন ঘরে এক বছরের শিশু রেখে নিয়মিত অপারেটরের ডিউটি দিচ্ছেন।
“ফ্যামিলির সাপোর্টটা সবচেয়ে ইমপর্ট্যান্ট,” ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন তিনি, “বিশেষ করে লাইফ পার্টনারের সাপোর্টটা…।”
কাজের ফাঁকে একটু সময় পেলেই ভিডিও কনফারেন্সে ছেলেকে দেখেন আক্তার, নিজের গলার স্বর শোনান।
ভয়েস অফ আমেরিকার জন্য প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন সাকিব প্রত্যয়।