বিজয়ীদের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

চলচ্চিত্র শিল্পে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৩৫ জন বিজয়ীর হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ তুলে দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের জন্য প্রদত্ত সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার হিসেবে বিবেচিত হয়।

চলচ্চিত্র শিল্পে অবদানের জন্য এ বছর বিশিষ্ট শিল্পী ডলি জহুর ও ইলিয়াস কাঞ্চন যৌথভাবে “আজীবন সম্মাননা পুরস্কার” পেয়েছেন।

যৌথভাবে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে মতিয়া বানু শুকুর “লাল মোরগের ঝুঁটি” এবং রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিতের “নোনাজলের কাব্য”।

সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে আকা রেজা গালিব পরিচালিত “ধর”।

সেরা তথ্যচিত্রের পুরস্কার পেয়েছে কাওসার চৌধুরী পরিচালিত “বধ্যভূমিতে একদিন”।

নোনাজলের কাব্য চলচ্চিত্রের জন্য “সেরা পরিচালক” মনোনীত হয়েছেন রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত।

“মৃধা বনাম মৃধা” এবং “রাতজাগা ফুল” চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের জন্য সিয়াম আহমেদ ও মীর সাব্বির মাহমুদকে দেওয়া হয় শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার।

আজমেরী হক ও তাসনোভা তামান্না যৌথভাবে যথাক্রমে রেহানা মরিয়ম নূর ও নোনা জলের কাব্য ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন।

নোনা জলের কাব্য ছবির জন্য সেরা সহচরিত্রের পুরস্কার পেয়েছেন ফজলুর রহমান বাবু। সেরা সহঅভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন শম্পা রেজা (“পদ্ম পুরাণ” ছবির জন্য)।

মো. আব্দুল মান্নান (জয়রাজ) “লাল মোরগের ঝুঁটি” ছবিতে নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পান। মৃধা বনাম মৃধা ছবিতে কমেডির জন্য পুরস্কার পেয়েছেন প্রভাষ কুমার ভট্টাচার্য (মিলন)।

আফিয়া তাবাসসুম (আফিয়া জাহিন জায়মা) রেহানা মরিয়ম নূর ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পীর পুরস্কার জিতেছে এবং “যা হারিয়ে যায়” ছবির জন্য শিশু বিভাগে একটি বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে জান্নাতুল মাওয়া ঝিলিক।

কে এম আবদুল্লাহ আল মুর্তজা মুহিন পদ্ম পুরাণ চলচ্চিত্রের জন্য গায়ক বিভাগে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার জিতেছেন এবং শ্রেষ্ঠ গায়িকা বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন চন্দনা মজুমদার। পদ্ম পুরাণ ছবির জন্য।

যৈবতী কন্যার মন ছবির গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকারের পুরস্কার পান প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ার।

যৈবতী কন্যার মন ছবির জন্য সেরা সংগীত পরিচালকের পুরস্কার জিতেছেন সুজেয় শ্যাম। একই ছবির জন্য সেরা সুরকারের পুরস্কারও জিতেছেন তিনি।

সেরা গল্প লেখকের পুরস্কার পেয়েছেন রেজওয়ানা শাহরিয়ার সুমিত। নোনা জলের কাব্য ছবির জন্য।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে নির্মিত “টুঙ্গি পাড়ার মিয়া ভাই” ছবির জন্য বিশেষ চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পিংকি আক্তার।

অন্য পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন- নুরুল আলম আতিক (চিত্রনাট্যকার), তৌকির আহমেদ (সংলাপ), সামির আহমেদ (সেরা সম্পাদনা), শিহাব নুরুন নবী (সেরা শিল্প নির্দেশনা), সৈয়দ কাশেফ শাহবাজী, সুমন কুমার সরকার এবং মাজহারুল ইসলাম রাজু (সম্মিলিতভাবে সেরা চিত্রগ্রাহক), শায়বা তালুকদার (সাউন্ড ডিজাইনার), ইদিলা কাসরিন ফরিদ (পোশাক ও নকশা) এবং মো. ফারুক ও মো. ফরহাদ রেজা মিলন যৌথভাবে সেরা মেকআপ আর্টিস্টের পুরস্কার জিতেছেন।

বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচারসংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও তথ্য সচিব হুমায়ুন কবির খন্দকার বক্তব্য দেন।