ঘূর্ণিঝড় মোখায় কক্সবাজার রোহিঙ্গা শিবিরে ক্ষয়ক্ষতি

Your browser doesn’t support HTML5

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে,বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে প্রায় দুই হাজার ৮২৬ টি ঝুপড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) অফিসের তৈরি করা প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

রবিবার (১৪ মে) রাত ১১টার দিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ঝড়ের সময় সাতজন শরণার্থী আহত হয়েছেন। সম্পূর্ণ নির্ভরযোগ্য হিসাব বের হতে আরো অন্তত এক দিন সময় লাগতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়ন, মিয়ানমার সীমান্তের কাছে শরণার্থী শিবিরগুলো, ঘূর্ণিঝড় মোখার সবচেয়ে খারাপ আঘাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। ঘুর্ণিঝড়ের আগে, ভাসানচরে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে দ্বীপের ৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়। আর, কক্সবাজার ক্যাম্পগুলোকে শক্তিশালী করার দিকে মনোনিবেশ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ইউএনএইচসিআর বিজিডি, বাংলাদেশে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার কার্যালয়, রবিবার রাত সাড়ে ৯টায় টুইট করেছে। তারা বলেছে, “বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায়, ঝুঁকিতে থাকা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সময়মতো সরিয়ে নেয়া হয়।”

আইওএম-এর মিশন প্রধান, আবদুসাত্তর এসোয়েভ, ঝড়টি স্থলভাগে আছড়ে পড়ার পর টুইট করেছন। তিনি লিখেন, “রোহিঙ্গারেসপন্স-এর নেতৃস্থানীয় সংস্থাগুলোর মধ্যে, আইওএম জিওবি এবং এর সঙ্গে সমন্বয় করে, ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবেলায় সকল মানবতাবাদী ব্যক্তি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে।” আইওএম হলো ইন্টার সেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপ(আইএসসিজি) বা রোহিঙ্গা রিফিউজি রেসপন্সের পিছনে সমন্বয়কারী সংস্থা, যা গত ৬ বছর ধরে এই প্রচেষ্টায় জড়িত। বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গা ফটোগ্রাফারদের উদ্যোগ, ‘স্বাধীন ফটোগ্রাফি’। রোহিঙ্গা ফটোগ্রাফার ম্যাগাজিনের টুইটার অ্যাকাউন্টে রবিবার সেখানকার চিত্রে পূর্ণ হয়ে যায়। তারা রবিবার রাত সোয়া ১১টায় টুইট করেছে, “ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ ছেড়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা পেয়েছে। তা সত্ত্বেও, বিপুল সংখ্যক আশ্রয়কেন্দ্র ও সুযোগ-সুবিধা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টেকনাফ-এর ক্যাম্পগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।