বুড়িগঙ্গার স্বর্গযাত্রা

Your browser doesn’t support HTML5

পলি সমৃদ্ধ ব-দ্বীপ বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে নদীকে ঘিরে। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেশির ভাগ নদীই আজ মৃতপ্রায়।

প্রবাহ সল্পতা, ভাঙ্গন, দখল, দূষণ, বালু উত্তলন, সাংস্কৃতিক বিচ্ছিন্নতা - এসব মনুষ্যসৃষ্ট কারণে অনেকগুলো নদী হারিয়ে গেছে চিরতরে।

রাজধানী ঢাকার প্রধান চারটি নদী সংকুচিত হয়েছে, দূষিত হয়েছে, দখল হয়েছে। এমনকি বুড়িগঙ্গাও আজ শীর্ণদেহী এক বৃদ্ধার মত স্বর্গযাত্রার অপেক্ষায়।

কেন বুড়িগঙ্গার এই মরণদশা আজ? জানতে আমরা সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়েছি বুড়িগঙ্গার তীরে।

"কেমিক্যালের পানির কারণে সারাদিনে ২০০ টাকার মাছও পাওয়া যায় না।" ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন জেলে মনির হোসেন।

নদী অধিকার কর্মী ও 'রিভারাইন পিপল'-এর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব শেখ রোকন আমাদের জানান, প্রতিদিন গড়ে ৪২.৩ লাখ কেজি মানব বর্জ্য ওয়াসা সরাসরি নদীতে দিয়ে দেয়।

ওদিকে, নদীর তীরেই বেড়ে ওঠা তেইশ বছরের যুবক আহসানুল হক আশঙ্কা করেন, হয়তো পরবর্তী প্রজন্ম বুড়িগঙ্গাকে আর দেখবেই না। তিনি বলেন, "আমরা ইয়ং জেনারেশন যারা আছি, তাদের এখনই উচিত যে আমরা আসলে এটার জন্য কিছু একটা করি।"