আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তার ঘাটতি সম্পর্কে জাতিসংঘের সতর্ক বার্তা

ফাইল- আফগানিস্তানের এক লোক কাবুলে ত্রাণ বিতরণের সময় চাকাওয়ালা গাড়িতে ত্রণ সামগ্রী বহন করছে।ফেব্রুয়ারি ১৬,২০২২।

জাতিসংঘ সতর্ক করে দিয়েছে যে আফগানিস্তানে লক্ষ লjgN লোককে জীবন রক্ষাকারী সহায়তা প্রদান “মারাত্মক ভাবে বাধাগ্রস্ত হবে কারণ ২০২৪ সালের জন্য মানবিক অর্থায়নের যে আবেদন জানানো হয়েছিল দাতারা তার মাত্র ৬% দিয়েছে।

অভাবগ্রস্ত দেশগুলোর মানবিক সমন্বয়ক ইন্দ্রিকা রাতওয়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তাদের প্রতিশ্রুতিকে দ্বিগুণ করতে এবং আফগান জনগণের জন্য আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধি করতে আহ্বান জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার প্রকাশিত জাতিসংঘের এক বিবৃতি অনুযায়ী বর্তমান অর্থায়ন যে স্তরে রয়েছে সে বিষয়ে তাঁর গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বলেন যে প্রয়োজনীয় ৩ লক্ষ ৬ হাজার কোটি ডলারের পরিবর্তে তারা পেয়েছেন মাত্র ২৯ কোটি ডলার।

বিবৃতিতে বলা হয়, “ বর্তমান প্রয়োজণীয়তা এবং প্রাপ্ত অর্থায়নের মধ্যে এতোখানি পার্থক্য প্রাণ রক্ষাকারী সহযোগিতাকে পৌঁছে দেবার ক্ষেত্রে বড় রকমের প্রতিবন্ধকতা সষ্টি করবে”।

জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর অনুমান যে আফগানিস্তানের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকেরই মানবিক সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। তারা সেখানে প্রায়শই প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং বহু বছরের যুদ্ধের উদাহরণ দিয়েছেন। তারা সতর্ক করে দেন যে দাতার অভাব বিশ্বের অন্যতম খারাপ সঙকটগুলোর একটি।

২০২১ সালে মৌলবাদি তালিবানের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন সে দেশে মানবিক তত্পরতার প্রতি চ্যালেঞ্জকে আরও বহুগুণ বাড়িয়ে তুলেছে।

আফগানিস্তানের বর্তমান কর্তৃপক্ষ বহু নারীর সরকারি ও বেসরকারি কাজের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যার মধ্যে রয়েছে জাতিসংঘের চাকরিও। তা ছাড়া কিশোরি মেয়েদের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর উপরে স্কুলে যা্ওয়াও নিষিদ্ধ করেছে।

নারীদের উপর থেকে এই বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার ক্রমাগত আন্তর্জাতিক আহ্বানকে তালিবান নাকচ করে দিয়ে বলেছে এই বিধিনিষেধ আফগান সংস্কৃতি এবং ইসলামি নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

মানবিক সংকট এবং বিদেশি দাতাদের নিরুত্সাহিত করার জন্য সমালোচকরা তালিবানের বিধিনিষেধকে দায়ী করেছেন।

অর্থায়নের ব্যাপক ঘাটতির জন্য বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী ২০২৩ সালে আফগানিস্তানের এক কোটি লোকের খাদ্য সহযোগিতা বন্ধ করে দেয়।