হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের মুক্তি দেবার আহ্বান জানালো ব্রিটেন ও জার্মানি

হামাস কর্তৃক অপহৃত জিম্মিদের সমর্থনে পোস্টার সম্বলিত একটি দেয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে আছে কিছু মানুষ, তেল আবিব, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪।

পশ্চিমা কূটনীতিকরা মঙ্গলবার গাজায় আটক ইসরায়েলের অবশিষ্ট জিম্মিদের মুক্তি দেওয়ার জন্য হামাসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরায়েলে হামাসের হামলার ২০০ তম দিনে তাদের এই আহ্বান আসে।

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, “ইহুদিদের ওপর হলোকাস্টের পর সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার ২০০ দিন পার হয়েছে। হামাসের হাতে এতদিন পরও জিম্মিরা বন্দি রয়ে গেছে এবং অকল্পনীয় দুর্ভোগের মুখোমুখি হচ্ছে তাদের প্রিয়জনরা।”

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক বলেন, “সব জিম্মিরা যতক্ষণ পর্যন্ত মুক্ত না হচ্ছে, ততক্ষণ আমরা হাল ছাড়ব না। তারা ঘরে ফিরলেই কেবল শান্তির সুযোগ সৃষ্টি হবে।”

ইসরায়েলের হিসাব অনুযায়ী, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত এবং ২৫০ জন জিম্মি হয়। তাদের দাবী, হামাসের হাতে, এখনও প্রায় ১০০ জন বন্দি এবং আরও ৩০ জনের দেহাবশেষও রয়ে গেছে ।

অপরদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, হামাসকে নির্মূল করার সামরিক অভিযানে গাজা ভূখন্ডে অন্ততপক্ষে ৩৪ হাজার ১৮৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত ও ৭৭ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে। নিহতদের দুই-তৃতীয়াংশই নারী ও শিশু।

যুক্তরাষ্ট্র সোমবার জানিয়েছে, হামাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাবে সম্মত হয়নি। প্রস্তাবে, যুদ্ধ বন্ধ, গাজায় ইসরায়েলের জিম্মিদের মুক্তি, ইসরায়েলের হাতে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি এবং গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা বাড়ানোর বিষয়টি ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, "একটি চুক্তিতে দুটি পক্ষ প্রয়োজন এবং এসময় হামাস কোনও চুক্তি চায় না বলে ইঙ্গিত দিচ্ছে।"

এই আলোচনার চেষ্টকালেও, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী মঙ্গলবার জানিয়েছে, রাতভর হামলা করে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের দুটি রকেট উৎক্ষেপণ অবস্থান ধ্বংস করেছে তারা। তাছাড়া, গাজার মধ্যাঞ্চলেও তাদের তৎপরতা জারি রয়েছে। সমস্ত গাজায় বিমান হামলায় আরও কয়েক ডজন হামাস সদস্য নিহতের খবরও জানায় তারা।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এপি , এএফপি এবং রয়টার্স থেকে নেওয়া হয়েছে।