সোমালিয়ার পুলিশ বলছে বৃহস্পতিবার একজন আত্মঘাতী বোমাবাজ রাজধানী মোগাদিশুতে একটি জনবহুল রেস্টুরেন্টের সামনে তার গেঞ্জিতে আটকানো বিস্ফোরক ফাটিয়ে কমপক্ষে সাতজনকে হত্যা করেছে।
সোমালি পুলিশ বলেছে আক্রমণটি ঘটেছে স্থানীয় সময়ে বিকেলে প্রায় সাড়ে তিনটায় এবং যে রেস্টুরেন্টের সামনে এই বিস্ফোরণটি ঘটানো হয় সেটি শহরের প্রধান পুলিশ স্থাপনার কাছে।
পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “স্কুল পলিজিয়া স্থাপনার কাছে একটি ক্যাফের সামনের বিশ্রামের স্থানটিকে লক্ষ্য করে আত্মঘাতী বোমাবাজ এই বিস্ফোরণটি ঘটায়, এতে সাত জন নিহত হন এবং আরও ছয় জন আহত হন”। এতে বলা হয় হতাহতের মধ্যে পুলিশ কর্মকর্তাবৃন্দ এবং অসামরিক লোকজনও রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে ছিলেন একজন সোমালি কৌতুকাভিনেতা সুগাল আব্দুল্লে এবং মোগাদিশুতে তুরস্ক নির্মিত ইয়ারদিম এলি স্পেশালিস্ট হাসপাতালের নিরাপত্তায় নিযুক্ত পুলিশের একজন অফিসার ইনচার্জ।
ওসমান নুর আদেন নামের একজন প্রত্যক্ষদর্শী ভয়েস অফ আমেরিকার সোমালি বিভাগকে বলেন, “ রেস্টুরেন্টের সামনে গাছের ছায়ায় দাঁড়ানো পুলিশ ও অসামরিক লোকদের সামনেই আত্মঘাতী বোমাবাজ নিজের দেহে বিস্ফোরণটি ঘটায়”।
শহরের কঠোর নিরাপত্তা বলয় যেখানে আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর আছে এবং কয়েকটি বিদেশী দূতাবাস ও জাতিসংঘ ও আফ্রিকান ইউনিয়নের ঘাঁটি রয়েছে , সেখানেই এই হামলা হলো।
জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি রোজম্যারি এ ডিকার্লোর সফরের সময়ে আক্রমণের এই ঘটনাটি ঘটলো।
সোমালিয়ার জাতীয় বার্তা সংস্থা, সোনা জানিয়েছে যে সোমালি প্রেসিডেন্ট হাসান শেখ মাহমুদ, প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে বৃহস্পতিবার ডিকার্লোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
সরকারের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ এই বৈঠকে সোমালিয়া ও জাতিসংঘের মধ্যে দীর্ঘদিনের অংশীদারিত্ব আরও মজবুত করার উপর জোর দেয়া হয় যাতে সোমালিয়ার অগ্রাধিকারের সমর্থনে জাতিসংঘের প্রচেষ্টার পথ পরিস্কার হয়”।
কোন গোষ্ঠীই এ পর্যন্ত এই বোমা বিস্ফারণের দায় নেয়নি। তবে পুলিশ বলেছে যে কোন রকম আনুষ্ঠানিক দাবি ছাড়াই তারা মনে করে, “ এই ঘটনাটি আল শাবাব ঘটিয়েছে”।
ইসলামপন্থি এই জঙ্গিগোষ্ঠী মোগাদিশুতে গত ১৫ বছর ধরে জনগণের সমাবেশের একাধিক স্থানে আক্রমণ চালিয়েছে এবং আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।