আফগানিস্তানের অর্থনীতি পরিচালনা করা যে কারোর জন্যই একটি কঠিন কাজ হবে, যে কারণে অর্থনীতিবিদ এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা এই সপ্তাহে হতাশা প্রকাশ করেছেন যখন দেশের তালিবান নেতারা মোহাম্মাদ ইদ্রিস নামে পরিচিত, আন্দোলনরত অপেক্ষাকৃত অপরিচিত ব্যক্তিটিকে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক দ্যা আফগানিস্তান ব্যাংকের প্রধান হিসেবে বেছে নেয়।
তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ টুইটারে লিখেছেন, "ইদ্রিস শুধু ব্যাঙ্কের ও মানুষের বর্তমান সমস্যাগুলো দেখবে।"
কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইদ্রিস বা তালিবান নেতৃত্বের কেউই বর্তমানে দেশটি যে ভয়ানক এক অর্থনৈতিক বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে তা উপলব্ধি করছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাক্তন গভর্নর আজমল আহমদি, যিনি কাবুলে তালিবান প্রবেশের একদিন আগে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, ব্লুমবার্গকে বলেন তালিবান দেশের অর্থনীতি মোকাবিলা করার জন্য কোন সুসংগত পদ্ধতি গ্রহণ করেনি। তিনি আরও বলেন, "তাদের অর্থনৈতিক নীতি বা সামষ্টিক অর্থনীতির অবস্থান কি হবে তা নিয়ে তারা কখনোই আলোচনা করেনি। এ ধরণের প্রশ্ন কখনো করা হয়নি কখনো বিবেচনা করেনি তারা।আমি কখনো শুনিনি যে তাদের দলে কোন অর্থনীতিবিদ আছেন"
গুল মাকসুদ সাবিত একমত পোষণ করে বলেন, "অর্থনীতি মোকাবেলা করতে তাদের সমস্যা হবে।" গুল মাকসুদ সাবিত আফগানিস্তানের অর্থ মন্ত্রকে একাধিক পদে কাজ করেছেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে, ২০১৩ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত, শুল্ক ও রাজস্ব বিভাগের উপ -অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার ওহলোন কলেজের প্রভাষক সাবিত ভিওএকে বলেন, "যদি তারা এমন লোকদের নিয়োগ দেয় যাদের সঠিক দক্ষতা নেই তাহলে সত্যি সমস্যা হবে।"
তালিবান এখন যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে তা হল অর্থনৈতিক সংকটের একটি জটিল জাল যা অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।