বাংলাদেশের সঙ্গে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের ঐক্যমত্যের পরের দিনই মত পরিবর্তন মিয়ানমারের

মিয়ানমারের মন্ত্রীর সোমবার সংক্ষিপ্ত ঢাকা সফরে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত নেয়ার ব্যাপারে দুই দেশের মধ্যে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের ঐক্যমত্যের ঠিক পরের দিনই মিয়ানমার তার সুর পরিবর্তন করে ফেলেছে।

মঙ্গলবার মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর বা অং সান সুচির কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে স্বাক্ষরিত ১৯৯২ সালের চুক্তি মোতাবেক যাদের বৈধ নাগরিকত্বের সনদ ও কাগজপত্র থাকবে তারাই দেশটিতে ফেরত যেতে পারবেন। ১৯৯২ সালের ওই চুক্তিটির নানা ত্রু টি-বিচ্যুতি রয়েছে এবং মিয়ানমার বারবার এর অপব্যবহার করেছে বলে ঢাকায় বিশ্লেষকরা বলছেন। ওই কারণে কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে তারা বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে ফেরত নিতে অনীহা প্রকাশ করেছে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের ঐক্যমত্যকে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সাফল্য বলে মঙ্গলবার বর্ণনা করেছেন।

এখনো হাজার হাজার রোহিঙ্গার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ অব্যাহত আছে। যেসব রোহিঙ্গা এখনো বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন তারাই জানিয়েছেন, মিয়ানমারের বাহিনী এখনো গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিচ্ছে; অত্যাচার-নির্যাতন অব্যাহত আছে।

এদিকে, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানে একজন রোহিঙ্গা আশ্রয়প্রার্থী ল্যান্ডমাইনের বিস্ফোরণে মঙ্গলবার নিহত হয়েছেন।

Your browser doesn’t support HTML5

ঢাকা থেকে আমীর খসরু'র রিপোর্ট।