ধ্রুপদী সঙ্গীত শিল্পী অন্নপূর্ণা দেবীর পরলোকগমন

Annapurna Devi

বিশিষ্ট হিন্দুস্তানি ধ্রুপদী সঙ্গীত শিল্পী অন্নপূর্ণা দেবী কাল গভীর রাতে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর, কয়েক বছর ধরেই বার্ধক্য জনিত অসুখে ভুগছিলেন।

প্রবাদপ্রতিম উস্তাদ আলাউদ্দিন খানের কন্যা, উস্তাদ আলি আকবর খানের বোন এবং পণ্ডিত রবিশঙ্করের এককালের স্ত্রী অন্নপূর্ণা নিজেও ছিলেন অসাধারণ সঙ্গীত শিল্পী। তাঁর বাবা তখন মাইহার রাজ্যের সভাশিল্পী। সেখানেই জন্ম রোশেনারার। কিন্তু মাইহার রাজ তাঁর মুখ দেখে নাম দেন অন্নপূর্ণা, সেই নামেই তাঁর পরিচিতি। মাত্র পাঁচ বছর বয়েসে বাবার কাছে সঙ্গীতে হাতেখড়ি। প্রথমে সেতার, পরে সুরবাহার। ১৯৪১ সালে বাবার প্রিয় শিষ্য রবিশঙ্করের সঙ্গে বিয়ে, একটি ছেলে হয় তাঁদের, শুভ শঙ্কর। ১৯৬১তে অত্যন্ত তিক্ততার মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকেই ক্ষোভে অভিমানে জনজীবন থেকে নিজেকে সরিয়ে বাসা বাঁধেন মুম্বাইয়ে। পাশে থাকেন শুধু শিষ্য শিষ্যারা কয়েক জন, যাঁদের অন্যতম ছিলেন পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, পণ্ডিত নিখিল ব্যানার্জি, প্রমুখ। সঙ্গীত জগতে অসামান্য অবদানের জন্য ভারত সরকার তাঁকে পদ্মভূষণ উপাধি দেন। কাল রাত ৩টে ৫১ মিনিটে তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে মাইহার ঘরানার শেষ প্রদীপটিও নিভে গেল।

দীপংকর চক্রবর্তী, ভয়েস অফ আমেরিকা, কলকাতা

Your browser doesn’t support HTML5

ধ্রুপদী সঙ্গীত শিল্পী অন্নপূর্ণা দেবীর পরলোকগমন