‘যা কিছু করতে পারিনি এই দীর্ঘ জীবনে, কিন্তু করতে চেয়েছি, সেগুলোই এখন আঁকড়ে ধরবো’ – বিদায়ী সাক্ষাতকারে বললেন কথাশিল্পী, সাহিত্যিক দিলারা হাশেম

Dilara Hashem

‘যা কিছু করতে পারিনি এই দীর্ঘ জীবনে, কিন্তু করতে চেয়েছি, সেগুলোই এখন আঁকড়ে ধরবো’ বিদায়ী সাক্ষাতকারে বললেন কথাশিল্পী, সাহিত্যিক দিলারা হাশেম

ভয়েস অফ আমেরিকার বেতার ভাষ্যকার, সাংবাদিক দিলারা হাশেম দীর্ঘ ৩৫ বছর কর্মব্যস্ত জীবন থেকে অবসর নিলেন ৩১শে মার্চ ২০১১ সালে। এখন থেকে তার শ্রোতারা যে তার কণ্ঠ শুনতে পাবে না সে কথা যেন ভাবতেই পারেন না।

‘যা কিছু করতে পারিনি এই দীর্ঘ জীবনে, কিন্তু করতে চেয়েছি, সেগুলোই এখন আঁকড়ে ধরবো’ – বিদায়ী সাক্ষাতকারে বললেন কথাশিল্পী, সাহিত্যিক দিলারা হাশেম

বিদায়ী সাক্ষাতকারে তিনি কিছু উজ্জ্বল মূহুর্ত স্মরণ করে বলেন, ‘এই কাজে পূর্ণ সময়ের জন্য যোগ দেওয়ার পর আমার প্রথম দায়িত্ব হয়েছিল দুটি সাপ্তাহিক অনুষ্ঠান করার। আমেরিকার জীবনধারা ও কান্ট্রি মিউজিকের আসর। তো এই দুটো অনুষ্ঠান করার জন্য আমি অনেক জায়গায় ঘুরেছি। ভয়েস অফ আমেরিকা থেকেই আমাকে পাঠানো হয় কান্ট্রি মিউজিকের পীঠস্থান ন্যাশভিলে। বেশ কয়েকবার সেখানে গিয়েছি বার্ষিক অনুষ্ঠান কভার করতে। সেখানে বহু শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছে – ব্লু গ্রাস সঙ্গীতের নামী শিল্পী বিল মনরোর সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। ওয়াশিংটনে জোন বায়েজের আত্মজীবনী – এ্যা ভয়েস টু সিং – বইটির প্রকাশনা উত্সবে তার সঙ্গে দেখা হয়। উনি তার বইতে রবিঠাকুরের যে কবিতা রয়েছে, তার অংশ বিশেষ পড়ে শুনিয়েছিলেন, সেটা আমার কাছে চমত্কার লেগেছিল। তার সাক্ষাতকার ভিত্তিক সেই অনুষ্ঠান ভয়েস আমেরিকার পুরস্কার পেয়েছে’।

বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার, সরোজিনী নাইডু স্বর্ণপদক, অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের শঙ্খচিল সাহিত্য পুরস্কার, কালচারাল এণ্ড লিটারারি পুরস্কারসহ, বহু সম্মানে ভূষিত দিলারা হাশেম অবসর জীবনে – লিখবেন, গান গাইবেন, ছবি আঁকবেন – এতদিন যা করতে পারেন নি এবার সেদিকে মন দেবেন।