এমেরিকায় শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে যাকেই জিজ্ঞাসা করুন মজার উৎসব কোনটি? এক বাক্যে সবাই বলবে হ্যালোইন। মাত্র হয়ে গেল হ্যালোইন। শত শত বছরের পুরানো এই উৎসব শুরু হয়েছিল ক্যাল্টিক দেশে অর্থাৎ পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলোতে। এসব দেশে এই উৎসব ছিল নবান্নের উৎসব। এখন তার ধারা বদলে গিয়েছে বিশেষ করে এমেরিকায়।
প্রতিবছর ৩১শে অক্টোবর, শীতের হীমেল হাওয়ায় দিনের আলো শেষ হতে হতে কম বয়সী ছেলে-মেয়েরা টর্চ হাতে বেরিয়ে পরে “ট্রিক অর ট্রিট” করার জন্য। আর রেওয়াজ মত অনেকেই মুখে মুখোশ এঁটে গায়ে অদ্ভুত পোষাক পরে বেরিয়ে পরে।
দোকানীরাও পিছিয়ে নই এই সময়টাতে, বাজারের দেখা যায় হ্যালোইন কষ্টিউম এর দোকান। এবারে সবচাইতে বেশি যে পাঁচটি পোষাক বিক্রি হয়েছে তা হচ্ছে ডাইনী, জলদস্যু, ভ্যাম্পায়ার, ষ্পাইডারম্যান, জম্বি এবং ব্যাটম্যান। অন্যদিকে গায়িকা কেটি প্যারির আদলেও পোষাক আসাকও অনেক তরুণীর কিনেছে। যেমন খুশি তেমন খুশি সাজোতে কেউবা রাজকুমারী, প্রজাপতি বা উইনি দ্যা পু-এর টিগার সাজতে-সাজাতে ভালবাসে।
অনেকে বাড়ীর সামনাটা সাজাতে ভালবাসে। মাকড়শার জাল বিছিয়ে কঙ্কাল টাঙ্গিয়ে ভুতরে একটা পরিবেশ তৈরি করে রাখেন। বড় বড় মিষ্টি কুমড়ো যা হ্যালোইনের সময় প্রায় প্রত্যেকটি বাড়ীর সামনে রাখা হয়। কুমড়োর ভেতরটা ভাল করে পরিষ্কার করে এর আবার মুখ-চোখ বানানো হয় তারপর ভেতরে ভরে দেওয়া হ্য় বাতি। টিমটিম করে বাতি জ্বলতে থাকে আর বাড়ীর ভেতরটা ঘুটঘুটে অন্ধকার করে চকলেট নিয়ে অপেক্ষা করা হ্য় ছেলে-পেলেদের
জন্য। তারপর শুরু হয় চমকে দেওয়ার পালা--- কে কাকে আগে চমকাবেন। এই ভাবে সারা সন্ধ্যা ছেলেমেয়েরা বাড়ী বাড়ী যায়, সংগ্রহ করে আনে ব্যাগ ভর্তি চকলেট। এই একটি দিন এমেরিকায় যেদিন বিনাদ্বিধায় যে কাউর বাড়ীর আঙ্গিনায় যাওয়া যায় আর আনায়াসে বাড়ীর কড়া খটখটালেও কেউ আপত্তি জানায় না।