বাংলাদেশের পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে বিশ্লেষন

বাংলাদেশে পাঁচ জানুয়ারির দশম সংসদিয় নির্বাচনের গ্রহনযোগ্যতা-বিশ্বাসযোগ্যতা এবং বিদ্যমান সংকট নিরসনকল্পে করণীয় সম্পর্কে ট্রান্সপেরেন্সী ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ TIB-র নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ইফতেখারূজ্জামান এবং সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে কথা বলে বিশ্লেষনধর্মি এই রিপোর্টটি পাঠিয়েছেন আমাদের সংবাদদাতা আমির খসরূ ।

Your browser doesn’t support HTML5

bangla elections




বাংলাদেশের পাঁচ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে মাইকেল কুগেলম্যানের সাক্ষাত্কার- রোকেয়া হায়দার -

বাংলাদেশের নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে সবাই একমত যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের বিজয় সম্পর্কে কোনই সন্দেহ ছিল না।
এখানে উড্রো উইলসান সেন্টারের সিনিয়ার প্রোগ্রাম এসোসিয়েট মাইকেল কুগেলম্যান বললেন, ‘আমি মনে করি এই নির্বাচন আমরা যেমনটি ধারণা করেছিলাম ঠিক তাই হয়েছে। কে জয়ী হবে সে বিষয়ে কোনই সন্দেহ ছিল না। নির্বাচন সুষ্ঠু ছিল কিনা, সে বিষয়ে কোনই যুক্তি তুলে ধরা যায় না। মাত্র অর্ধেক আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়’।
মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, ‘এই নির্বাচনের ফলাফল আশানুরুপই হয়েছে তবে এর ফলে একটা অনিশ্চয়তার সৃষ্টি হবে, অস্থিরতা দেখা দেবে। দূর্ভাগ্যজনক যে, এর ফলে আরও হানাহানি হবে যা কিনা বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলবে। তাই আগামী কয়েক সপ্তাহ, সম্ভবতঃ কয়েক মাস বাংলাদেশ পরিস্থিতি উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠবে’।
আন্তর্জাতিক সমাজ যুক্তরাষ্ট্র, ই ইউ, জাতিসংঘ অনেকেই দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে ব্যর্থ হয়। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন এ হচ্ছে বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার অংশ। এ প্রসঙ্গে কুগেলম্যান বলেন, ‘হ্যাঁ তা হয়েছে, তবে তত্ত্ববাধায়ক সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তনের জন্য সংবিধান সংশোধন করা হয়। সরকার সেটাই করেন । তাই সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার কথা বলার কোন অর্থ হয় না’।
তিনি বলেন, আগামী কয়েক মাস আমাদের, বাংলাদেশের পরিস্থিতি কি দাঁড়ায় সে দিকে নজর রাখতে হবে।

Your browser doesn’t support HTML5

bangla kugalman