চীন সরকার বাংলাদেশের ৮ হাজারের বেশি পণ্যকে ওই দেশে ৯৭ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। আর এটি আগামী ১ জুলাই থেকে চীন কার্যকর করবে বলে ঢাকায় পররাষ্ট্র দপ্তর শুক্রবার এক ঘোষণায় একথা জানিয়েছে। ঢাকায় পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে চীন সরকারকে চিঠি দিয়ে ওই অনুরোধ জানানো হয়েছিল। আর ওই অনুরোধের প্রেক্ষাপটে চীন ৫ হাজার ১৬১টি বাংলাদেশী পণ্যকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। চীন সরকার জানিয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে ওই সুবিধা দেয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড এগ্রিমেন্ট-এর আওতায় ৩ হাজার ৯৫টি পণ্যে চীনের কাছ থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, সেই সুবিধার বাইরেও ৯৭ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা ওইসব পণ্যকেও দেয়া হবে। ফলে শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় বাংলাদেশকে চীনের পক্ষ থেকে মোট ৮ হাজার ২৬৫টি পণ্যকে ৯৭ শতাংশ শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়া হলো।
বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ এবং বিশ্লেষকগণ বলছেন, চীন সর্ব-সা¤প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ, ভুটান, নেপালসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি তাদের পরিবর্তিত নীতি-কৌশল গ্রহণ করেছে। চীনের বেল্ট এ্যন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বা বিআরআইও এই কৌশলের অংশ বলে তারা মনে করছেন। ভারত চীনের এই নয়া কৌশলকে ভালো দৃষ্টিতে দেখছে না বলে বিশেষজ্ঞগণ মনে করেন। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, বাংলাদেশী পণ্যকে চীনের শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রদানের বিষয়টি এরমধ্যে পড়ে না। ড. ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক কূটনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে নিরপেক্ষ ভূমিকা গ্রহণ করছে।
ঢাকা থেকে আমীর খসরু
Your browser doesn’t support HTML5