বাংলাদেশে করোনা টেস্ট থেমে আছে ১৫ হাজারের মধ্যে

বাংলাদেশে যখন উল্কার গতিতে করোনা ছুটে চলেছে ঠিক তখনই টেস্ট থেমে আছে ১৫ হাজারের মধ্যে। ফলে কে কোথায় কিভাবে সংক্রমিত হচ্ছেন তা জানা সম্ভব হচ্ছেনা। সংখ্যাই বা কত তাও থাকছে অজানা! এর মধ্যে কিট সংকট। ৪৩ টি জেলায় পিসিআর ল্যাবের সুবিধাও নেই। অন্যদিকে টেস্টে ভুল ফল আসছে। মিলছেনা সংক্রমণের সঠিক চিত্র। আবার নমুনা জমা না দিয়েও অনেকে মোবাইলে বার্তা পাচ্ছেন ‘আপনার করোনা পজিটিভ’। সবমিলিয়ে এক জগাখিচুড়ি অবস্থা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় এক সময় কাজ করতেন বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞ ডা. মোজাহেরুল হক। গোঁড়া থেকেই তিনি বলেছিলেন, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। মঙ্গলবার এই সংবাদদাতাকে মোজাহেরুল হক বলেন, শুরুতে ঢাকা সহ চার, পাঁচটি জেলায় করোনার দাপট সীমাবদ্ধ ছিল। এখন সব শহরে, বন্দরে, গ্রামে গঞ্জে ছড়িয়ে পড়েছে। গোষ্ঠী সংক্রমণও শিকড়ে পৌঁছেছে। এই অবস্থায় কার্যকর পদক্ষেপও দৃশ্যমান নয়। এখন যে অঞ্চলভিত্তিক লকডাউন দেখা যাচ্ছে তা মোটেও কার্যকর নয়। এই ব্যবস্থা সংক্রমণ ঠেকাতে কোন ভুমিকা রাখবেনা। তার মতে লকডাউন, আইসোলেশন ও হোম কোয়ারেন্টিন ঠিকমত মানা হলে হয়তো চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। একেবারে নির্মূল করা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা একের পর এক ভুল করে চলেছি। চীনা বিশেষজ্ঞ দলও অনেক লোকের প্রাণহানির কথা বলে গেছে।

ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৩ জন মারা গেছেন। এ নিয়ে মৃত্যু দাঁড়ালো ১৫৪৫ জনে। আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪১২ জন। সবমিলিয়ে আক্রান্ত ১ লাখ ১৯ হাজার ১৯৮ জন। বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সারাদেশে সাড়ে তিন হাজার চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৪৫ জন চিকিৎসক।

Your browser doesn’t support HTML5

বাংলাদেশে করোনা টেস্ট থেমে আছে ১৫ হাজারের মধ্যে