করোনা সংক্রমণ বিদ্যমান থাকা, ভুয়া টেস্ট এবং করোনার সার্টিফিকেট কেলেংকারীর কারণে ইতালী, জাপান, কুয়েত তাদের দেশে বাংলাদেশী নাগরিকদের প্রবেশে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে অথবা আগের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রেখেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোতে যাওয়ার জন্য সেনজেন ভিসা দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে ‘অনাগ্রহী’ দেশের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।
ইতালীর প্রধানমন্ত্রীর জারি করা রোববারের এক আদেশে বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশের নাগরিকরা সে দেশে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রবেশাধিকার পাবেন না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ইতালীর দেয়া নিষেধাজ্ঞা ১০ আগস্ট শেষ হবার কথা ছিল। সুইডেনসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে।
কুয়েত এ সপ্তাহেই বাংলাদেশসহ ৩১টি দেশের নাগরিকদের সে দেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। জাপানও এ সপ্তাহে বাংলাদেশসহ মাত্র ৪টি দেশের ওপর কঠিন-কঠোর ব্যবস্থা আরোপ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন সেনজেন ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে ৫৪টি দেশকে ‘ভিসা দিতে বাধা নেই’ বলে তালিকা করেছে- যেখানে বাংলাদেশের নাম নেই। বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে ‘অনাগ্রহী’ দেশের তালিকায়।
ঢাকায় কর্মকর্তারা বলছেন, অনেক দেশ ঘোষণা দিয়ে নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে দিলেও বহুদেশ অনানুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশীদের সেসব দেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা এবং ব্যাপক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এতে অভিবাসন এবং ভাবমূর্তির দিক দিয়ে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করেন অভিবাসন এবং শরণার্থী বিষয়ক বিশ্লেষক আসিফ মুনীর।
বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, জাল-জালিয়াতির পরিপূর্ণ বিচার সম্পন্ন করে বাংলাদেশ যদি হারানো ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধার করতে না পারে, তবে এর প্রভাব অভিবাসন, দেশের রপ্তানী, অর্থনীতিসহ সামগ্রিকভাবে পড়বে।
Your browser doesn’t support HTML5