এস্ট্রাজেনেকার টিকা স্থগিতের খবরে ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ

অংশগ্রহণকারী একজন অসুস্থ হওয়ার পরে অক্সফোর্ড কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনের পরীক্ষা স্থগিত করেছে

অক্সফোর্ডের তৈরি করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য টিকা নিয়ে বাংলাদেশে দারুণ আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। আশাবাদী হয়ে পড়েছিলেন আমজনতা। বাংলাদেশের বেক্সিমকো ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে এ নিয়ে আগাম চুক্তিও করেছিল। সিরাম ইনস্টিটিউট এই অঞ্চলে এস্ট্রাজেনেকার টিকা উৎপাদনে ছাড়পত্র পেয়েছে। মঙ্গলবার রাতে লন্ডন থেকে আচমকা খবর আসে এস্ট্রাজেনেকার টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল স্থগিতের। বলা হয়, একজন স্বেচ্ছাসেবক অজ্ঞাত এক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় এনে মানবশরীরে এই টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ স্থগিত করে দেয়া হয়েছে। মিডিয়ায় এই খবর প্রচারের পর প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। তৈরি হয়েছে অস্বস্তি । উদ্বেগতো আছেই। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে, টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এস্ট্রাজেনেকাকেই বেশি নির্ভরযোগ্য মনে করা হতো। বিশ্বের যে নয়টি সংস্থা টিকা নিয়ে কাজ করছে এরমধ্যে এস্ট্রাজেনেকা অন্যতম। গত ৩১শে আগস্ট থেকে তারা ট্রায়াল শুরু করে। ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এক লাখেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক আগ্রহ প্রকাশ করে অনলাইনে সম্মতি জানিয়েছিলেন। বাংলাদেশে বাকি থাকলো চীনা ভ্যাকসিন। বাংলাদেশ ছাড়পত্র দিলেও ট্রায়াল এখন পর্যন্ত শুরু হয়নি। এই যখন অবস্থা তখন বাংলাদেশে ভিন্ন পরিস্থিতি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সবকিছুই স্বাভাবিক করে দেয়া হয়েছে। যদিও বিশেষজ্ঞরা আগাগোড়াই দ্বিমত পোষণ করে আসছেন। তারা বলছেন, সংক্রমণে ঊর্ধ্বগতি। এই অবস্থায় 'নিউ নরমালের' ফাঁদে পড়লে বিপদের ঝুঁকি বেশি। তাছাড়া বিশ্বব্যাপী দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানতে শুরু করেছে।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৮২৭ জন।

Your browser doesn’t support HTML5

এস্ট্রাজেনেকার টিকা স্থগিতের খবরে ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশে