বাংলাদেশে একজন চিকিৎসক তৃতীয় দফা আক্রান্ত

করোনায় দু’বার আক্রান্ত হওয়া নতুন কোনো খবর নয়। বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী অনেক দেশেই এরকম ঘটছে। কিন্তু কেউ তৃতীয়বার আক্রান্ত হলে এটাই খবর। বাংলাদেশের একজন চিকিৎসক তৃতীয় দফা আক্রান্ত হয়ে এখন হাসপাতালে। বিশ্ব গণমাধ্যমেও খবর হয়েছেন তিনি। ডা. নিহার রঞ্জন দাশ কাজ করেন ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। কোভিড, নন-কোভিড ইউনিটে কাজ করছিলেন গত মার্চ থেকে। বিজ্ঞানীরা শুরুতে বলেছিলেন, কেউ যদি করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে যান অন্তত ছয় মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফা আক্রান্ত হন না। সাধারণত করোনার বিরুদ্ধে যে এন্টিবডি তৈরি হয় তা ছয় মাস পর্যন্ত থাকে। ভয়েস অফ আমেরিকার এই সংবাদদাতাকে ডা. নিহার রঞ্জন বলেন, বলা সত্যি কঠিন। কখন কিভাবে তৃতীয় দফা আক্রান্ত হয়েছি। তবে এটা ঠিক, হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোনো সূত্র নেই। যেখান থেকে এই ভাইরাস আমার শরীরে আসতে পারে।

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য বিভাগের উপ-প্রধান ডা. পে ইয়ো মনে করেন, করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় এটা হতে পারে। চীনের গ্লোবাল টাইমসকে ডা. ইয়ো বলেছেন, নিঃসন্দেহে এটা একটি বিরল ঘটনা। তিনি বলেন, দেহে এন্টিবডি দুর্বল হয়ে গেলে এমনটা হয়ে থাকে। এইক্ষেত্রে ডা. দাশের হয়তো তার শরীরেই লুকিয়ে ছিল। দ্বিতীয়বার যখন আক্রান্ত হন তখন এন্টিবডি দুর্বল থাকায় প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর বলেছেন, প্রথম সংক্রমণের ছয় মাসের মধ্যে জীবাণু শরীরে থেকে যেতে পারে। এ কারণে সম্ভবত মি. দাশ তৃতীয় দফা আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত খবরে জানা যায়, বাংলাদেশে ২৫ জন দ্বিতীয় দফা আক্রান্ত হয়েছেন।

ওদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৯ জন মারা গেছেন। নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৬০৪ জন।

Your browser doesn’t support HTML5

বাংলাদেশে একজন চিকিৎসক তৃতীয় দফা আক্রান্ত