বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতায় দেশের ঝুঁকি বাড়ছে

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) মনে করে, জাতীয় উন্নয়নে বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভরতা কমলেও বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতায় দেশের ঝুঁঁকি বাড়ছে। নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার (এলডিসি) শর্তগুলো পূরণ করায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছ থেকে পাওয়া ঋণের সুদ বাড়ছে। যা একটি দেশের উন্নয়নের অন্যতম বাধা।
বুধবার জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (আঙ্কটাড) প্রকাশিত স্বল্পোন্নত দেশ বা এলডিসি প্রতিবেদন-২০১৯ এ বাংলাদেশ সম্পর্কে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় সাহায্যের পরিমাণ বাড়ানোর পরামর্শ উঠে এসেছে প্রতিবেদনে। তবে সেই সহায়তা পাওয়া বাংলাদেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছে সিপিডি।
আঙ্কটাডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এলডিসির টেকসই উন্নয়নের জন্য রাজস্ব-জিডিপির অনুপাত ১৫ শতাংশ দরকার। এলডিসিগুলোর গড় রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত ২০০০ সালে ছিল মাত্র ১১ শতাংশ। ২০১৭ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৯ শতাংশ। বাংলাদেশের রাজস্ব-জিডিপি অনুপাত এখনো ৯ শতাংশের মতো। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশ পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশের কর আহরণ এখনো দুর্বল।
আঙ্কটাডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশের ইতিহাসে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এই দুটো দেশই ২০১৮ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের তিনটি মানদ-ের সবগুলোতেই নির্দিষ্ট মান অর্জন করেছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে মূলধন বিন্যাসে প্রথম ৪টি দেশের মধ্যে একটি বাংলাদেশ।

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর।

Your browser doesn’t support HTML5

বৈদেশিক ঋণ নির্ভরতায় দেশের ঝুঁকি বাড়ছে