চীনের ভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন : পরামর্শক কমিটি চায় ৬ ধরনের ভ্যাকসিনের অনুমোদন

বাংলাদেশ সরকার চীনের সিনোফার্মের ভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বৃহস্পতিবার। বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সর্বোচ্চ সপ্তাহ দু’য়েকের মধ্যে বাংলাদেশকে উপহার হিসেবে দেয়া সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বাংলাদেশে এসে পৌঁছেবে। এই ভ্যাকসিন পাওয়ার সাথে সাথে তা ব্যবহার শুরু হবে। প্রতিজনকে ২৮ দিনের ব্যবধানে দুই ডোজ ভ্যাকসিন দিতে হবে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানিয়েছেন ঔষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান। মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান আরো জানান, ভ্যাকসিন পাওয়ার পর প্রথমে ১ হাজার জনের ওপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে, ৭ দিন তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এর আগে মঙ্গলবার স্পুতনিক-ভি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়া হয়।

বাংলাদেশে করোনা মোকাবেলায় সরকার গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটি শুধুমাত্র ভারত, চীন ও রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল না থেকে অন্তত ৬ ধরনের ভ্যাকসিন বাংলাদেশে ব্যবহারের অনুমোদন দেয়ার জন্য সরকারের কাছে সুপরিশ করেছে। জাতীয় পরামর্শক কমিটির সদস্য এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ডা. বেনজীর আহমেদ বলেন, ভ্যাকসিন পাওয়ার উৎসগুলো যতটা সম্ভব উন্মুক্ত রাখতে হবে।

Your browser doesn’t support HTML5

চীনের ভ্যাকসিন জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমোদন : পরামর্শক কমিটি চায় ৬ ধরনের ভ্যাকসিনের অনুমোদন

এদিকে, ভ্যাকসিন নিয়ে যেখানে রয়েছে নানা অনিশ্চয়তা, সেখানে একক উৎসের ওপর নির্ভরতা ছিল বাংলাদেশের ভুল সিদ্ধান্ত - সংবাদ মাধ্যমকে এমন মতামত দিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এশিয়া অঞ্চলের সাবেক উপদেষ্টা এবং বিশেষজ্ঞ ডা. মোজাহেরুল হক। ডা. মোজহেরুল হক মনে করেন, ভ্যাকসিন কার্যক্রম অব্যহত রাখার জন্য সবার সাথে সম্পর্কোন্নয়নের নীতি সরকারকে গ্রহণ করতে হবে।