জরুরি ভিত্তিতে ১৬ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ

জরুরি ভিত্তিতে ১৬ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য বাংলাদেশ পুনরায় যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে। যুক্তরাজ্যের টেলিভিশন চ্যানেল আইটিভি-র সাথে শুক্রবারে প্রচারিত এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ওই অনুরোধ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আমরা তেমন বেশি কিছু চাচ্ছি না, দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য ১৬ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনই আমাদের প্রয়োজন।

Your browser doesn’t support HTML5

জরুরি ভিত্তিতে ১৬ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে অনুরোধ

যুক্তরাজ্য সরকারের উচিত কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোকে সহায়তা করা'। উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের মওজুদে বেশকিছু উদ্বৃত্ত অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন রয়েছে। তিনি অবশ্য আইটিভি নিউজকে বলেছেন, এর আগেও যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ওই ভ্যাকসিনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারা সেটা প্রত্যাখান করে এই বলে যে, তাদের ভ্যাকসিন দেয়ার সক্ষমতা নেই। গত বৃহস্পতিবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেছিলেন, যুক্তরাজ্য আগেও ভ্যাকসিনের ব্যাপারে ইতিবাচক কিছুই বলেনি।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কাছে থাকা উদ্বৃত্ত থেকে বাংলাদেশ ২ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিন চেয়েছে। এখনও পর্যন্ত এর কোন জবাব বাংলাদেশ পায়নি বলে ঢাকায় পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে।


পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সাংবদিকদের জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যাকসিন প্রাপ্তির অগ্রাধিকার তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান অনেক নীচে। ঢাকায় প্রাপ্ত আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তরের গ্লোবাল কোভিড রেসপন্স বিভাগের সমন্বয়কারী জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যাকসিন প্রাপ্তির অগ্রাধিকারের ক্ষেত্রে ভারত অন্যতম প্রধান একটি দেশ।
চীন বাংলাদেশকে আরো ৬ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার হিসেবে দেবে বলে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বাংলাদেশী সমকক্ষকে জানিয়েছেন। এর আগে চীন আরো ৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে দিয়েছিল।