যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জরুরিভিত্তিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ৪০ লাখ ডোজ টিকা চেয়েছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ঢাকায় অবস্থানরত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল মিলারের সঙ্গে এক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৬০ মিলিয়ন ডোজ টিকা অতিরিক্ত রয়েছে। এই টিকা থেকেই বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের চাহিদা আসলে এক থেকে দুই কোটি ডোজ। রাষ্ট্রদূত মিলারকে এটাও বলা হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই মুহূর্তে বলা কঠিন কবে পাওয়া যাবে টিকা। তবে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। ভারতের কাছেও টিকা প্রাপ্তির তাগিদ দেয়া হয়েছে বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে। আমরা বলেছি, বেশি না পারেন অন্তত ৩০ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর ব্যবস্থা করুন। ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউটের তরফে আগেই বলা হয়েছে, আগামী জুলাই মাসের আগে টিকা সরবরাহ করা সম্ভব নয়।
Your browser doesn’t support HTML5
টিকা না থাকায় ইতিমধ্যেই প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ হয়ে গেছে। নতুন করে রেজিস্ট্রেশনও বন্ধ। দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়ার মতো মজুদও কম। এক সপ্তাহের মধ্যে কোনো সূত্র থেকে টিকা না এলে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। চীন থেকে পাঁচ লাখ ডোজ টিকা আগামী সপ্তাহে আসার কথা রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, টিকা আনার জন্য প্রাণান্তকর চেষ্টা চলছে। রাশিয়ার স্পুটনিক টিকার ব্যপারে খুব শিগগিরই একটি চুক্তি হতে পারে। উল্লেখ্য যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও রাশিয়ার টিকার অনুমোদন দেয়নি।
দেশব্যাপী গণপরিবহন চালু না হলেও ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায় চালু হয়ে গেছে। শুরুতেই শোনা গিয়েছিল, গণপরিবহন চালু করা নিয়ে সরকারের ভেতরেই ভিন্নমত রয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিষয়টি খোলাসা করেছেন। বলেছেন, নানামুখী চাপের কারণে গণপরিবহন চালু করতে হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, তার কাছে খবর রয়েছে, এপ্রিল মাসেই কমপক্ষে ২৫ লাখ মানুষ যাতায়াত করেছেন। যে কারণে সংক্রমণ বেড়েছে।
করোনার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় রেমডিসিভির। ভারতে এর স্বল্পতা রয়েছে। বাংলাদেশ জরুরি সাহায্য হিসেবে ১০ হাজার রেমডিসিভির পাঠিয়েছে।
ওদিকে করোনায় গত ৩৯ দিনে সবচেয়ে কম মানুষ মারা গেছেন বৃহস্পতিবার। ২৪ ঘণ্টায় ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। শনাক্ত হয়েছেন এক হাজার ৮২২ জন।