বাংলাদেশে সোস্যাল মিডিয়ার ওপর কড়া নজরদারি

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর প্রতিবেদন

সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশে সোস্যাল মিডিয়ার ওপর কড়া নজরদারি চলছে। ইতিমধ্যেই ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগ আনা হয়েছে। বাংলাদেশে এ মুহূর্তে ফেসবুক ব্যবহারকারী রয়েছেন প্রায় ৪ কোটি। আর ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন প্রায় ৮ কোটি মানুষ। পুলিশ রাস্তায় রাস্তায় ছাত্র ও যুবকদের ফোন চেক করছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নোটিশ জারি করেছেন তাদের অনুমতি ছাড়া কোন ছাত্র-ছাত্রী সোস্যাল মিডিয়ায় কোন বক্তব্য, বিবৃতি, স্ট্যাটাস দিতে পারবে না। এসব খবরে সোস্যাল মিডিয়া জুড়েই এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা হচ্ছে অনেকের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকজনকে নেয়া হয়েছে রিমান্ডে। নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবির মনে করেন সোস্যাল মিডিয়ার ওপর ক্র্যাকডাউন স্বাধীন মত প্রকাশের ক্ষেত্রে অন্তরায়। তিনি অবশ্য বলেন, আন্দোলনের সময় ভুয়া খবর যে ছিল না তা কিন্তু নয়। নূরুল কবির বলেন, পাড়ায়-মহল্লায় গিয়ে পুলিশ এক ধরনের ভীতি ও ত্রাস সৃষ্টি করছে।

ওদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ দমনের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান বলেছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণীর লোক উস্কানিমূলক পোস্ট ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছিল। তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে।

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর প্রতিবেদন।

Your browser doesn’t support HTML5

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরীর প্রতিবেদন।