বাংলাদেশে চালের মজুদ কমে যাওয়ায় প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল বিদেশ থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত

দেশে চালের মজুদ কমে যাওয়ায় সরকার খুব শিগগিরই প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল বিদেশ থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ভারত থেকে দেড় লাখ টন চাল আমদানি করা হচ্ছে। আর এ লক্ষ্যে দুই দেশের সরকারের মধ্যে খুব শিগগিরই চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে চ‍ূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত সরকার। খাদ্য সচিব সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বাংলাদেশ সরকারের হিসেবেই দেখা যাচ্ছে, গত মার্চ মাসে চালের মজুদ ছিল সাড়ে ১৪ লাখ মেট্রিক টন। যা মধ্য জুনে এসে দাঁড়ায় ১১ লাখ ৬৩ হাজার টনে। সবশেষ ২৭ ডিসেম্বরের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, মজুদ নেমে দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৩৬ হাজার টনে। এর বিরূপ প্রভাব পড়েছে বাজারের ওপরে। দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে চালের দাম। করোনা, দফায় দফায় বন্যা এবং বিরূপ আবহাওয়ার কারণে এ বছর বোরো, আমনসহ সব ফলনেরই ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আর যথাযথ সময়ে মজুদেও অনীহা ছিল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। এখন খাদ্যমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, খাদ্য আমদানি করলে বাজার স্থিতিশীল হবে।

Your browser doesn’t support HTML5

বাংলাদেশে চালের মজুদ কমে যাওয়ায় প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন চাল বিদেশ থেকে আমদানির সিদ্ধান্ত


তবে অর্থনীতিবিদ এবং খাদ্য বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, যথাসময়ে চাল আমদানি না করায় এখন বেশি দামে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে হচ্ছে। চাল আমদানির প্রধান প্রধান উৎস্য দেশ ভিয়েতনাম, ভারত ও থাইল্যান্ডে চালের দাম আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। চালের মজুদসহ এ সম্পর্কে বিশ্লেষণ করেছেন সাবেক খাদ্যসচিব এবং খাদ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ আবদুল লতিফ মন্ডল।
বিশেষজ্ঞগণ বলছেন, পরিস্থিতি বিবেচনা না করায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে এখন বেশি দামে চাল আমদানি করতে হচ্ছে।