বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যাবস্থার নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন বিশিষ্ট ব্যাংকার ও অর্থনীতি বিশ্লেষক মামুনুর রশীদ। সরকার কবীরূদ্দীন ওয়াশিংটন ষ্টুডিও থেকে তার সঙ্গে কথা বলেন।
স্বাধীনতা উত্তরকালে বাংলাদেশে সকল ক্ষেত্রেই কর্ম তৎপরতার পরিসর অনেক ব্যাপক হয়েছে –বিস্তৃততর হয়েছে। বলা হয়ে থাকে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছিয়ে গিয়েছে। তুলনামুলকভাবে বাংলাদেশে স্বাধীনতা উত্তর সময়ে সরকারী ও অসরকারী স্তরের ব্যাঙ্ক কতোগুলো চালু রয়েছে এবং মানুষের দোরগোড়ায় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা পৌঁছিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কিং সেবাও পৌঁছিয়ে গিয়েছে এটা কতোখানি আস্থার সঙ্গে বলা যেতে পারে?
শুধু ব্যাঙ্কিংই নয় – অর্থ সংশ্লিষ্ট যে কোনো খাতেই , শুধু অর্থই বা বলি কেন জনগন সংশ্লিষ্ট যে কোনো খাতেই শৃঙ্খলা-স্বচ্ছতা-সততা একান্তই অপরিহার্য । বাংলাদেশের ব্যাঙ্কিং খাত এ মাপকাঠিতে কতোখানি উতরায় বলে আপনি মনে করেন?
শোনা যায় ঋণ খেলাপী বলে চিহ্নিত লোকজনই আবার কর্মসংস্থান সৃষ্টির দাবিদার- বানিজ্যপতি বলে স্তুতিবাদে ধন্য হয়ে থাকেন অনেক ক্ষেত্রেই এবং বহু লেখালেখি, আলোচনা সমালোচনার পরেও বিপুল অঙ্কের ঐসব ঋণ পরিশোধের কোনো লক্ষন নজরে পড়েনা- আপনার মূল্যায়ন?
দেশের অর্থ সম্পদ- যা ব্যাঙ্কের আমানত হিসেবে গচ্ছিত রয়েছে, থাকে তার সূরক্ষিত রাখার ব্যবস্থাটা কতোখানি নিশ্চিত ব’লে মনে হয় আপনার?
সামগ্রিকভাবে এই খাতটির পরিচালন ব্যবস্থা দেশের অর্থনীতিকে কতোখানি সুরক্ষিত করছে বলে মনে করেন আপনি?
সবশেষে, বিষয়টি অতোটা না ব্যাঙ্কিং সংশ্লিষ্ট যতোটা বাজেট প্রসঙ্গে – তবুও বহূল আলোচিত বিধায়, প্রসঙ্গটা এখানে আনছি। বলা হয়েছে ব্যাঙ্কে গচ্ছিত অর্থ এক লক্ষ টাকার ওপরে থাকলে তাতে আবগারি শুল্ক দিতে হবে- এখানে এই এক লক্ষ টাকা আসলেই কতো টাকা। বর্তমান বাজার মূল্যে এ অঙ্ক মালিককে কতোখানি বিত্তবান চিহ্নিত করে। আপনার মূল্যায়ন কি?
Your browser doesn’t support HTML5