বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বিশ্বব্যাপী করোনায় মারা যাওয়াদের স্মরণে শোক প্রকাশ
করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেই সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য শনিবার অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশন।
সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে এই অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছিল। অধিবেশনের শুরুতেই বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত হয়ে যারা মৃত্যবরণ করেছেন তাঁদের স্মরণে শোক প্রকাশ করা হয়। বিকেল ৫ টার দিকে শুরু হওয়া সংক্ষিপ্ত এই অধিবেশনের সমাপ্তি বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকানো সহ এর ফলে সৃষ্টি হওয়া বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সমস্যার সমাধানের জন্য তাঁর সরকার যে সকল ব্যবস্থা নিয়েছে তার বিবরণ সংসদে তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পরপরই সংক্ষিপ্ত এই অধিবেশনের সমাপ্তি টানা হয়।
আজকের অধিবেশনে স্বল্প সংখ্যক সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন এবং সংসদে তাঁদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে।
এদিকে, ফেসবুক লাইভে এক ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, করোনার সংক্রমণ রোধে সাধারণ ছুটির পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে লকডাউন ঘোষণার কারনে দেশে নারী নির্যাতন ও গর্ভধারণ বেড়েছে। মহামারীর ফলে স্কুল থেকে অনেকে ঝরে পড়তে পারে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা রোধে স্থানীয় প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, যিনি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের বিশেষ
ফেলো বলেন, করোনা ভাইরাসের কারনে সব থেকে বিপাকে পড়েছে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী এবং এদের মধ্যে খাদ্য ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়ে স্বচ্ছতা এবং সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এই মহামারী জাতীয়ভাবে মোকাবিলা করতে হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এজন্য দরকার জাতীয় ঐক্য।
Your browser doesn’t support HTML5
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে বিশ্বব্যাপী করোনায় মারা যাওয়াদের স্মরণে শোক প্রকাশ