বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবৈধ ক্যাসিনো অপসারণের সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে ৬০টি ক্যাসিনো সক্রিয় ছিল, বৈধ অনুমতি ছাড়া। বুধবার সন্ধ্যায় ফকিরাপুল ইয়ংম্যানস ক্লাবের অবৈধ ক্যাসিনো মালিক ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে অস্ত্র, গুলি ও মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ১৪২ জনকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। খালেদ মাহমুদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় অস্ত্র ও ইয়াবা রাখার অভিযোগে এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকায় এই অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো প্রধানতঃ যুবলীগ। এই অভিযান শুরু হওয়ার পর যুবলীগের নেতারা গা-ঢাকা দিয়েছেন। এই অভিযানের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন যুবলীগের প্রেসিডেন্ট ওমর ফারুক চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, শুধু ক্যাসিনো নয়, সব অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে অভিযান চলবে। পাশাপাশি অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসার প্রশ্রয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ বা প্রশাসনের কেউ জড়িত থাকলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ডিএমপি পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, এই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
অবৈধ ক্যাসিনো নেটওয়ার্কের সঙ্গে বিদেশীরাও জড়িত। এর মধ্যে নেপালীদের অংশগ্রহণ বেশি। গত রাত থেকে নেপালীদের গ্রেপ্তারের জন্য র্যাব অভিযান চালাচ্ছে।
Your browser doesn’t support HTML5
ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী'র রিপোর্ট।