বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ১১ দেশের উদ্বেগ

বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে অন্তহীন উদ্বেগ দেশে-বিদেশে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোও বলেছে, এই আইনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে খর্ব করবে। হরণ করবে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা। দেশীয় মানবাধিকার সংগঠনগুলোও একই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। বিরোধী রাজনীতিবিদরাও বলছেন, এই আইন কার্যকর হলে সাধারণ মানুষ কথা বলার স্বাধীনতা হারাবে।

সর্বশেষ রোববার ঢাকায় অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ ১১টি দেশের তরফে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই আইনের অপব্যবহারের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে দীর্ঘ দু’ঘণ্টা এ নিয়ে কথা হয়েছে রাষ্ট্রদূত ও তাদের প্রতিনিধিদের। বৈঠক শেষে জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. থমাস প্রিনজ বলেছেন, তারা মনে করেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি স্বাধীন মত প্রকাশের পথে অন্তরায়। ২১, ২৫ ও ২৮ ধারা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন, এই আইনটিতে জামিন অযোগ্য ধারা রয়েছে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, "বৈঠকে ১১ দেশের প্রতিনিধিরা যেসব বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তা আমরা শুনেছি। আলোচনা শেষ হয়ে যায়নি। আরো আলোচনা হবে"।

ওদিকে ১০টি আন্তর্জাতিক সিভিল সোসাইটি সংগঠন প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ বরাবর এক খোলা চিঠিতে বলেছেন, প্রস্তাবিত এই আইনটি সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতাকে সংরক্ষণ করতে ব্যর্থ হবে।

প্রস্তাবিত আইনে সাংবাদিকদের আপত্তি গুপ্তচরবৃত্তির তকমা নিয়ে। আইনে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি বেআইনীভাবে প্রবেশের মাধ্যমে কোন সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত বা বিধিবদ্ধ সংস্থার গোপনীয় তথ্য, উপাত্ত, কম্পিউটার, ডিজিটাল যন্ত্র, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা অন্য কোন ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রেরণ বা সংরক্ষণ বা সহায়তা প্রদান করেন তাহলে এটা গুপ্তচরবৃত্তির অপরাধ বলে গণ্য হবে। এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১৪ বছরের কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ড হবে।

Your browser doesn’t support HTML5

ঢাকা থেকে মতিউর রহমান চৌধুরী'র রিপোর্ট।